পরিচালকের বিরুদ্ধে নারীদের অসম্মান করার অভিযোগ, তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হলো লন্ডনের সম্মানীয় পদ। হার্ভে ওয়েইনস্টেইনের কাছ থেকে সম্মান সূচক ‘সিবিই’ পদ কেড়ে নিলেন ইংল্যান্ডের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
চলতি বছরের মার্চ মাসে পরিচালক হার্ভে ওয়েইনস্টেইনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং যৌন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠে। যার জন্য তাকে ২৩ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেয়া হয়। ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ১৮ই সেপ্টেম্বর তার থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের উচ্চ সামরিক সম্মান ‘কমান্ডার অফ ব্রিটিশ এম্পায়ার’ কেড়ে নেন ইংল্যান্ডের রানী।
লন্ডন গেজেট পত্রিকায় একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে , ‘২০০৪ সালের ২৯শে জানুয়ারী সিভিল বিভাগের সম্মানীয় কমান্ডার পদে ভূষিত করা হয়েছিল হার্ভে ওয়েইনস্টেইনকে। রানী নির্দেশ দিয়েছেন, অপরাধী হার্ভের এই নিয়োগ বাতিল বলে গণ্য করা হবে এবং রেজিস্টার থেকে তার নাম মুছে ফেলা হবে।’
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তার অসাধারণ অবদানের জন্য তাকে এই সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছিল, তবে ধর্ষণের অভিযোগ সামনে আসার পর সম্মান প্রদানকারী কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কমান্ডার পদে থাকার কোনো যোগ্যতা নেই হার্ভে ওয়েইনস্টেইনের। পদকে অসম্মানিত করা হলে এই কমিটি আলোচনায় বসে এবং সম্মান প্রাপকের আচরণ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়- তিনি আদৌ এতো বড় সম্মান বহন করতে পারবেন কিনা।
৬৮ বছরের পরিচালক ওয়েইনস্টেইনের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলা হেনস্থার অভিযোগ আনেন। এদের মধ্যে একজন সাহস করে তার অভিযোগ সামনে এনেছিলেন নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার মাধ্যমে। এরপরই ভুরি ভুরি অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। ‘সিবিই’ অপসারণের সঙ্গে সঙ্গে ২০০২ সালে ওয়েইনস্টেইন ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে যে ফেলোশিপ পেয়েছিলেন তাও আর কার্যকর থাকলো না। মিরাম্যাক্স এবং দ্য ওয়েইনস্টেইন কোম্পানির প্রাক্তন প্রধান লস অ্যাঞ্জেলসে আরও ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন, যদিও করোনভাইরাস মহামারিজনিত কারণে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রত্যর্পণের কার্যক্রম পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।