× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নয় বছরে ৯ বিয়ে, অপেক্ষায় আরও ৪

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০, শনিবার, ৬:২৯ পূর্বাহ্ন

সোলায়মান। বাড়ি বরগুনায়। পেশায় সিকিউরিটি সুপারভাইজার। কিন্তু পরিচয় দেন সেনা কর্মকর্তার। এভাবে গত নয় বছরে বিয়ে করেছেন ৯ তরুণীকে। এর বাইরেও অপেক্ষায় রয়েছে আরও ৪ তরুণী। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে নিরাশ নন তারাও। এত বিয়ের পেছনে উদ্দেশ্য একটাই বউদের পিতার বাড়ির লোকজনের কাছ মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়া।
শুধু কি বিয়ে? চাকরি দেয়ার নামেও শ্বশুরবাড়ির স্বজনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এমন এক অভিযোগে শেষমেশ চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে প্রতারক সোলায়মান। প্রতারক সোলায়মানের বেশ কিছু তথ্য আগে থেকেই পেয়েছিল চট্টগ্রাম মহানগরীর গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়ায় তাকে আটক করা যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, সোলায়মান কম্পিউটারের ফটোশপে বিভিন্ন অফিস বা আর্মির বিভিন্ন সদস্যদের পোশাক পরা ছবিতে নিজের মুখ লাগিয়ে নিজেকে সেভাবে উপস্থাপন করতেন। এরপর সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে একের পর এক বিয়ে করা শুরু করেন। তবে বউরা একে অন্যের বিষয়ে জানতো না। বিয়ে করা স্ত্রীদের দিয়ে বিভিন্ন এনজিও থেকে লাখ লাখ টাকা ঋণ নিত সে। যা আত্মসাৎ করতো। একইভাবে চাকরি দেওয়ার কথা বলে শ্বশুরবাড়ির স্বজনদের কাছ থেকেও মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়েছে সে। সবাই জানতো সে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা। এই বিশ্বাস থেকেই সবাই তাকে টাকা দিয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মনির হোসেন বলেন, বিয়ে পাগল প্রতারক সোলায়মানের বাড়ি বরগুনায়। সেখানেও তার বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ের অভিযোগ রয়েছে। ধরা পড়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে সোলায়মান স্বীকার করেছে যে, নানা পরিচয়ে সে চট্টগ্রামে নয় বছরে নয়জনকে বিয়ে করেছে। পাশাপাশি অন্তত আরো ৪ তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে অপেক্ষায় রেখেছে। তার বিষয়ে আরও খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর