× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আফগানিস্তানে শিশুদের জন্মসনদে নথিভুক্ত হবে মায়েদের নাম

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০, রবিবার, ৮:০৩ পূর্বাহ্ন

আফগানিস্তানে শিশুদের জন্মসনদে পিতার পাশাপাশি যুক্ত হতে যাচ্ছে মায়ের নামও। এতোদিন ধরে আফগানিস্তানের আইন অনুসারে, পরিচয়পত্রগুলোয় কেবল বাবার নামই নথিভুক্ত করা যেতো। এখন থেকে পিতামাতা উভয়ের নামই শিশুর জন্মসনদে থাকবে। বৃহস্পতিবার এ সংশ্লিষ্ট এক আইনের সংশোধনীতে স্বাক্ষর করে ঐতিহাসিক এই পরিবর্তন নিশ্চিত করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
 খবরে বলা হয়, আফগানিস্তানে জনসম্মুখে নারীদের নাম মুখে উচ্চারণ করাও সামাজিকভাবে অননুমোদিত হিসেবে বিবেচিত। এমনকি, নারীদের নাম প্রকাশ্যে উচ্চারণ করা অপমান হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। নিজের নাম ব্যবহার করার কারণে অনেক নারী প্রহারের শিকারও হয়েছেন।
তবে গত তিন বছর ধরে দেশটিতে নারীদের নাম ব্যবহার আরো বিস্তৃত করে তোলার পক্ষে আন্দোলন চলছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #হয়ার ইজ মাই নেম (আমার নাম কোথায়) লিখে নারীদের প্রতি এই বৈষম্যের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন অধিকারকর্মীরা। পার্লামেন্টের সদস্য থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের তারকারাও এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তারা জাতীয় পরিচয়পত্রে বাবার নামের পাশাপাশি মায়ের নামও যোগ করার দাবি জানিয়ে আসছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে অধিকারকর্মীরা নিজেদের বাবার নাম ও মায়ের নাম প্রকাশ করেছেন।
#হয়ার ইজ মাই নেম আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা লালেহ ওসমানী বিবিসিকে জানান, নতুন আইনের ঘোষণায় তিনি উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, এটা আমাদের অবিরাম প্রচারণার ফল এবং সরকার ও জনগণের মধ্যে সংহতির প্রকাশ। সরকার জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী সপ্তাহে তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে অনুষ্ঠেয় শান্তি আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় অনেকে আশঙ্কা করছেন, তালেবানের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নারীদের স্বাধীনতাকে জলাঞ্জলি দিতে পারে সরকার। আরো আশঙ্কা করা হচ্ছে, রক্ষণশীলরা নতুন পদক্ষেপটির তীব্র বিরোধিতা করবে। অনেক রক্ষণশীল এমন মনে করেন যে, এটা পশ্চিমাদের ষড়যন্ত্র।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর