ঢাকার কেরানীগঞ্জে তুরাগ টু রোহিতপুর প্রকল্পের রামেরকান্দা এলাকায় ইস্পাহানি উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্বপাশের রাস্তাটি অবৈধ দখলদারদের জন্য নকশা অনুযায়ী সোজাসুজিভাবে সংস্কার ও সম্প্রসারণে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ওই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে রাস্তাটি সোজাসুজিভাবে সংস্কার ও সম্প্রসারণের দাবিতে যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেরানীগঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, রামের কান্দা ইস্পাহানি উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্বপাশ থেকে শুরু করে কয়েক মাইল দীর্ঘ রাস্তাটি কলাতিয়া বাজারের রাস্তার সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে এবং নারায়ণ পট্টি এলাকায় রাস্তাটির উপর কিছু অবৈধ দখলদার দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে রেখেছে। এতে ওই জায়গায় রাস্তাটি বাঁকা অবস্থায় মানুষের ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর দিয়েই দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এ কারণে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন প্রতিদিনই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। এখন তুরাগ টু রোহিতপুর প্রকল্পের আওতায় ওই রাস্তাটির সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ শুরু করা হয়েছে। রাস্তাটি সংস্কার ও সম্প্রসারণ হলে ঢাকা-আরিচা ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে।
এতে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন চলাচল করবে এ রাস্তা দিয়ে। এ অবস্থায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের নকশা অনুযায়ী সোজাসুজিভাবে রাস্তাটি সংস্কার ও সম্প্রসারণ না করলে ওই বাঁকা রাস্তা আরো বাঁকা হয়ে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাবে এবং ওই এলাকার মানুষজন তাদের সম্পত্তি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকারি রেকর্ডপত্রে উল্লেখিত সড়ক ও জনপথ বিভাগের নকশা অনুযায়ী রাস্তাটি সংস্কার ও সম্প্রসারণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। অভিযোগকারী ভূক্তভোগী মো. রাশেদ বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নকশা মোতাবেক সরকারের নিজস্ব জায়গার উপর অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে সেখান দিয়ে সোজাসুজিভাবে রাস্তাটি সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হলে অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে এবং ক্ষতির হাত থেকে আমরা অনেকেই রক্ষা পাবো। এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান সোহেল বলেন, আমরা অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়ে এসেছি। বাকি কাজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।