× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পীরগঞ্জে বিধবার জমি দখলের অভিযোগ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে
২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, রবিবার

পীরগঞ্জে রাতের অন্ধকারে সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এক বিধবার দোকান ঘরের তালা কেটে মালামাল লুটপাট, প্রাচীর ভাঙচুর করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে এক কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এ সময় বাধা দিতে গেলে বিধবা ও তার মেডিকেল পড়ুয়া কন্যাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রভাবশালী ওই চক্রটি জমি নিজের দাবি করে অসহায় বিধবা পরিবারটিকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মাদারগঞ্জ মাদ্রাসা মোড় সংলগ্ন একবারপুর পূর্বপাড়া গ্রামে। অভিযোগে জানা যায়, একবারপুর পূর্বপাড়া গ্রামের আবু জাফর মিয়া ১৯৮৬ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর দলিলমূলে ১০ শতাংশ জমি (দলিল নং ১০০৬৪) প্রতিবেশী আবদুল জলিল শেখের কাছ থেকে ক্রয় করে। এর মধ্যে ৮ শতাংশ জমির উপর বসতবাড়ি ও দোকান ঘর নির্মাণ পূর্বক ভোগ দখল করে আসছিল। বাকি ২ শতাংশ জমি একই এলাকার দবির শেখের নিকট বিক্রি করেন। এরই মধ্যে ২০১৫ সালে আবু জাফর মিয়া মারা যান।
মারা যাওয়ার পূর্বে আবু জাফর মিয়া তার স্ত্রী মাছুমা খাতুন ওরফে চায়না’র নামে ১৯৯৪ সালের ৪ঠা ডিসেম্বরে দলিলমূলে ৬ শতাংশ জমি (দলিল নং ১১৪৮৯) ও ২০০২ সালের ৩রা জানুয়ারিতে ২ শতাংশ জমি (দলিল নং- ২৩৮) মোট ৮ শতাংশ জমি (বাড়ি ও দোকানসহ) হস্তান্তর করেন। কিন্তু ওই জমি প্রতিবেশী জলিল শেখ ও দবির শেখ (মাদাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ) নিজেদের দাবি করে প্রায়ই ওই বিধবা পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হতো। এ ব্যাপারে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে রংপুর সিনিয়র জজ আদালতে মাছুমা খাতুন ১টি মামলা করলে আদালত বিবাদীগণের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এছাড়া গত ১৯শে জুলাই থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়। এরই সূত্র ধরে গত ৩রা সেপ্টেম্বর গভীর রাতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে জলিল শেখ ও দবির শেখ তাদের লোকজন নিয়ে প্রথমে সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিধবা মাছুমা খাতুনের দোকান ঘরের তালা কেটে (ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষিত) মালামাল লুটপাট করে এবং বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে দখল করে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, একজন অসহায় বিধবা মহিলার সঙ্গে তারা অবিচার করেছেন। পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সরেশ চন্দ্র জানান, অভিযোগ করা হয়েছে কিনা এ মুহূর্তে জানি না। তবে এমন ধরনের ঘটনা ঘটলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর