× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মির্জাগঞ্জে জরাজীর্ণ আশ্রয়ণ প্রকল্প, ভোগান্তিতে ভূমিহীনরা

বাংলারজমিন

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
২০ সেপ্টেম্বর ২০২০, রবিবার

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার খাস জমির ওপর নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলো নির্মাণের দীর্ঘ বছরেও সংস্কার না হওয়ায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে মানবেতার জীবনযাপন করছে বসবাসকারীরা এ অবস্থায় তারা সরকারের কাছে ঘর মেরামতের দাবি জানান।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে সরকারি অর্থায়নে উপজেলার কাঁকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কাঁকড়াবুনিয়া বাজার সংলগ্ন আশ্রয়ণ প্রকল্প, ভিকাখালী আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং ২০০৯ সালে মসজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামে, ভাসন্ডা গ্রামে, দৈউলী সুবিদখালী ইউনিয়নে দেউলী, মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নে কপালভেড়া, মাধবখালী ইউনিয়নে রামপুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলো নির্মিত হয়েছে। প্রকল্পে মসজিদ, কবরস্থান, সমবায় সমিতির কার্যালয়সহ টিনের ব্র্যাক রয়েছে। প্রতিটি ব্র্যাকে রয়েছে ১০ করে কক্ষ। আবাসিক জমিসহ প্রতিটি ভূমিহীন পরিবারকে এসব ব্র্যাকের একটি করে কক্ষ বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রকল্পে ১০টি পরিবারের জন্য ৪টি শৌচাগার ও ২টি গোসলখানা নির্মাণ করে দেয়া হয়। এছড়াও প্রতিটি ব্র্যাকের জন্য একটি করে গভীর নলকূপ বসানো হয়।
কিন্তু নির্মাণের পর দীর্ঘ বছর পার হলেও সংস্কার হয়নি প্রকল্পগুলো। ফলে নষ্ট হয়ে গেছে প্রকল্পের অনেক কিছু। সরজমিনে আশ্রয়ণ প্রকল্পেগুলো ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ ব্র্যাকই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ঘরের টিনে মরিচা পড়ে ছিদ্র হয়ে গেছে। ছিদ্রগুলো বন্ধ করতে পলিথিন বিছিয়ে তার উপরে ইটের চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। দরজা, জানালাগুলো ভেঙে যাচ্ছে। কাকড়াবুনিয়া প্রকল্পের বাসিন্দা মো. হেলাল বলেন, ঘরের মধ্যে থাকতে পারি না। বৃষ্টি এলে টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে। পানি ঠেকাতে হাঁড়ি, পাতিল দিয়েও লাভ হয় না। কপালভেড়া প্রকল্পের বাবুল বলেন, সরকার ভূমিহীনদের পুনর্বাসন করতে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করে। কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষায় ঘরের ভিতরে পানি পড়ে, শীতে লাগে ঠাণ্ডা। আমরা নানা সমস্যার মধ্যে থাকলেও সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। কাকড়াবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সহায়, সম্বল ও ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে সরকার। কিন্তু নির্মাণের দীর্ঘদিন পেরুলেও সংস্কার না করায় এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সরোয়ার হোসেন জানান, প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করে যেসব ঘর জরাজীর্ণ তার তালিকা পাঠানো হবে। ইন্‌শাআল্লাহ খুব শিগগিরই ভাঙা ও জরাজীর্ণ ঘরগুলো সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর