× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট / চাপের মুখে করোনা টিকা ট্রায়ালের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ এস্ট্রাজেনেকার

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০, রবিবার, ৭:৪২ পূর্বাহ্ন

চাপের মুখে নিজেদের সম্ভাব্য করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯)  টিকার ট্রায়াল নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে বৃটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এস্ট্রাজেনেকা। এ নিয়ে তৃতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে শনিবার এমন তথ্য প্রকাশ করলো তারা। এর আগে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও মডার্নাও একইরকম তথ্য প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে করোনার টিকা ট্রায়ালের প্রক্রিয়া নিয়ে ওষুধ প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো স্বচ্ছ হওয়ার দাবি উঠেছে। এমন দাবির মুখেই এসব তথ্য প্রকাশ করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এ খবর দিয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
খবরে বলা হয়, জনমত জরিপে দেখা গেছে যে, মার্কিনিরা করোনা টিকা গ্রহণের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে। সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী ও বাইরের বিজ্ঞানীরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, আগামী নভেম্বরের নির্বাচনের আগ দিয়েই টিকা বাজারে আনতে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাপ দেবেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তার চাপের মুখে পড়ে অপ্রমাণিত ও অনিরাপদ টিকা উৎপাদনে অনুমোদন দিয়ে দিতে পারে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো।
এমতাবস্থায় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর তাদের ট্রায়াল নিয়ে আরো স্বচ্ছ হতে চাপ বেড়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নকশাকারী বিশেষজ্ঞ নাটালি ডিন বলেন, এই প্রটোকলগুলোর প্রকাশ জনগণের চাপের প্রতিফলন। এটা একটা নজিরবিহীন পরিস্থিতি। টিকা তৈরিতে সফল হওয়ার যাত্রায় জনগণের আত্মবিশ্বাস বিশাল ভূমিকা রাখবে।
গত এপ্রিল থেকেই বৃটেনে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের সঙ্গে মিলে তৈরি করা সম্ভাব্য টিকাটির ট্রায়াল শুরু করে এস্ট্রাজেনেকা। এরপর যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিলসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের তাদের শেষ ধাপের ট্রায়াল শুরু হয়। তবে সম্প্রতি তাদের ট্রায়ালের দুই জন অংশগ্রহণকারী গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত মাসে প্রথম রোগী অসুস্থ হওয়ার পরপরই বন্ধ রাখা হয় টিকাটির ট্রায়াল। পরবর্তীতে তা ফের চালু হয়। কিন্তু চলতি মাসের শুরুতে ফের আরেকজন অসুস্থ হলে দ্বিতীয়বারের মতো বন্ধ হয় ট্রায়াল। যদিও এরপর বৃটেন, ব্রাজিল, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ট্রায়ালটি ফের চালু হয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে তা এখনো বন্ধ রয়েছে। এখন অবধি বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৮ হাজার মানুষের ওপর টিকাটি প্রয়োগ করেছে এস্ট্রাজেনেকা।
 প্রাথমিকভাবে ওই দুই রোগী সম্পর্কে তথ্য প্রকাশে অস্বীকৃতি জানানোর পর তাদের টিকাটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা। পরবর্তীতে অবশ্য এস্ট্রাজেনেকা জানায়, ওই দুই রোগীই নারী। তারা উভয়েই বৃটেনে টিকার ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারী। তাদের মধ্যে প্রথম রোগীকে টিকাটির একটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল। ট্রায়াল চলাকালীন অবস্থায় তার ‘মেরুদ-ে প্রদাহ’ বা ‘ট্রান্সভার্স মেলাইটিস’ দেখা দেয়। এর ফলে হাত ও পায়ে দুর্বলতা, অবশ হয়ে যাওয়া, ব্যথা, ফুলে যাওয়াসহ নানা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
প্রথম রোগী অসুস্থ হওয়ার পর এস্ট্রাজেনেকা স্বাধীন বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে টিকাটির নিরাপত্তা পর্যালোচনা করে। তাতে দেখা যায়, ওই রোগী আগ থেকেই মাল্টিপল স্কে¬রোসিস রোগে আক্রান্ত ছিলেন। ট্রান্সভার্স মেলাইটিস এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক উপসর্গগুলোর একটি। ট্রায়ালে অংশ নেওয়ার আগে তার ওই রোগ ধরা পড়েনি। তবে টিকার ডোজ গ্রহণের সঙ্গে তার উপসর্গের কোনো সম্পর্ক নেই।
এদিকে, এস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, দ্বিতীয় অসুস্থ রোগীর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ঘটনাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, ওই রোগীর মধ্যেও ট্রান্সভার্স মেলাইটিসের উপসর্গই দেখা গেছে। এই রোগ বেশ বিরল। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রতি হাজারে একজন অংশগ্রহণকারীর মধ্যেও এর উপস্থিতি পাওয়া যাওয়া অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। একাধিক অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এর উপস্থিতি পাওয়া যাওয়া এস্ট্রাজেনেকার জন্য চরম দুঃসংবাদ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর