২৭ ক্রিকেটারকে নিয়ে শুরু হওয়ার কথা ছিল জাতীয় দলের অনুশীলন। কিন্তু মাঠে কোচদের সঙ্গে গতকাল অনুশীলনে অংশ নেন মাত্র ১৬ জন। তাহলে বাকি ১১ জন কোথায়! জানা গেল তাদের রাখা হয়েছে আইসোলেশনে! তবে তারা সবাই বিসিবির দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষায় হয়েছিলেন করোনা নেগেটিভ। তবুও তাদের আলাদা রাখার কারণ কী! এ বিষয়ে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম অনুসারে কারো মধ্যে যদি নেগেটিভ হওয়ার পরও করোনার কিছু উপসর্গ থাকে তাহলে তাদের আইসোলেশনে রাখতে হবে। আমাদের এমন দুই একজন ক্রিকেটার আছেন যাদের মধ্যে কিছু উপসর্গ আছে। আর তাদের সংস্পর্শে ছিলেন বাকিরা। যে কারণে এই ১১ জনকে আমরা পুনরায় পরীক্ষা না করা পর্যন্ত আলাদা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ তবে তাদের সবাই মিরপুর একাডেমির মাঠে আলাদাভাবে ফিটনেস অনুশীলন করেছেন। তৃতীয় দফায় ক্রিকেটারদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার পর তারা নেগেটিভ হলেই উঠতে পারবেন টিম হোটেলে।
যোগ দিতে পারবেন কোচদের সঙ্গে অনুশীলনেও। কাল (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হবে ক্রিকেটারদের তৃতীয় দফা করোনা টেস্ট।
আইসোলেশনে থাকা ক্রিকেটাররা হলেন ইবাদত হোসেন চৌধুরী, নাঈম হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাইফ হাসান, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, হাসান মাহমুদ, আবু জায়েদ রাহী, শফিউল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। এই ১১ জনকে আলাদা ভাবেই আগামী ২ থেকে তিন দিন অনুশীলন করতে হবে। যদি তৃতীয় দফায় তাদের মধ্যে কেউ করোনা পজেটিভ হয় তাহলে তাদের জন্য রয়েছে লঙ্কা সফরের আগে চতুর্থবার করোনা পরীক্ষার সুযোগ। গতকাল ১৬ ক্রিকেটার টিম হোটেলে উঠলেও ১১ ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমির ভবনে। এখানে থেকে তারা বিসিবির গাইড লাইন মেনে ফিটনেস অনুশীলনে কাজ করবেন। ২২শে সেপ্টেম্বর তাদের আবারো নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হবে টেস্টের জন্য।