আইপিএলের দ্বিতীয় দিনেই দারুণ উত্তেজনাকর এক ম্যাচ উপহার দিলো দিল্লি ক্যাপিটালস-কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। সেই লড়াইয়ে সুপার ওভারে জিতলো দিল্লি।
রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মার্কাস স্টইনিসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে (২১ বলে ৫৩) ২০ ওভারে ১৫৭/৮ সংগ্রহ করে দিল্লি ক্যাপিটালস। জবাবে পাঞ্জাবও থামে ১৫৭/৮-এ। ৬০ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৮৯ রানের ইনিংস খেলেও পাঞ্জাবকে জেতাতে পারেননি মায়াঙ্ক আগারওয়াল। শেষ ওভারে বল হাতে চমক দেখিয়ে দিন শেষে হিরো স্টইনিস। ২০তম ওভারে জয়ের জন্য ১৩ রান প্রয়োজন ছিল পাঞ্জাবের। কিন্তু স্টইনিসের করা ওই ওভারে ১২ রান তুলতে পারে পাঞ্জাব।
ম্যাচ হয় টাই।
সুপার ওভারে পাঞ্জাবের হয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও নিকোলাস পুরান। কাগিসো রাবাদার করা ওভারের প্রথম বলে ২ রান নেন রাহুল। কিন্তু পরের বলেই আউট। স্ট্রাইকিং প্রান্তে গিয়ে তৃতীয় বলে সরাসরি বোল্ড হন পুরান। তাতে পাঞ্জাবের সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ২ রান। আইপিএলের ইতিহাসে সুপার ওভারে এটাই সবচেয়ে কম সংগ্রহ। ৩ রানের টার্গেটটা মোহাম্মদ শামির দুই বলেই পেরিয়ে যায় দিল্লি।
ম্যাচসেরা হন মার্কাস স্টইনিস। ব্যাটে-বলের পারফরম্যান্সে পুরস্কারটা তারই প্রাপ্য ছিল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শামির তোপে পড়ে ১৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল দিল্লি। চতুর্থ উইকেটে ঋষভ পন্তের সঙ্গে জুটি গড়ে সেই ধাক্কা কিছুটা কাটিয়ে উঠেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। কিন্তু দুই বলের ব্যবধানে আইয়ার (৩২ বলে ৩৯) ও পন্ত (২৯ বলে ৩১) ফিরলে ফের বিপাকে পড়ে যায় দিল্লি। দলীয় ৯৬ রানে যখন ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফিরছেন অক্ষর প্যাটেল (৬) তখন ১৬.১ ওভারে দিল্লির সংগ্রহ মাত্র ৯৬ রান। এরপরই ব্যাট হাতে মরুর বুকে ঝড় তোলেন স্টইনিস। মাত্র ২১ বলে ৫৩ রান করে ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হন এই অজি অলরাউন্ডার। যাতে ছিল ৭ চার ও ৩ ছক্কার মার। স্টইনিসের কল্যাণে শুধু ক্রিস জর্ডানের করা ২০তম ওভারেই আসে ৩০ রান! ওই ওভারে ৩ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ৪ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট নেন শামি। শেলডন কটরেলের শিকার ২ উইকেট।
১৫৮ রানের লক্ষ্যে নেমে ভালোই হয়েছিল পাঞ্জাবের শুরুটা। একটা সময় তাদের স্কোর ছিল ৪.২ ওভারে ৩০/০। এরপর ৫ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় দলটি। একে একে ফেরেন লোকেশ রাহুল (২১), কারুন নায়ার (১), নিকোলাস পুরান (০), ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১)। এর মধ্যে পঞ্চম ওভারেই দুই উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দলীয় ৫৫ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন সরফরাজ খান (১২)। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলছিলেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। ষষ্ঠ উইকেটে কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি করেন তিনি। দলীয় ১০১ রানে আউট হন গৌতম (১৪ বলে ২০)। তখন জয়ের জন্য ২৭ বলে ৫৭ রান প্রয়োজন ছিল পাঞ্জাবের। জর্ডানকে নিয়ে সেটি প্রায় পেরিয়েই গিয়েছিলেন আগারওয়াল। স্টইনিসের করা শেষ ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান তিনি। দ্বিতীয় বলে দৌড়ে ২ রান। তৃতীয় বলে চার মেরে স্কোর লেভেল করে ফেলেন আগারওয়াল। চতুর্থ বল ডট। পঞ্চম বলে সীমানার কাছে শিমরন হেটমায়ারের কাছে ধরা পড়েন। শেষ বলে আউট হয়ে যায় জর্ডানও (৬)। দিল্লির হয়ে স্টইনিস, রাবাদা ও অশ্বিন প্রত্যেকের শিকার ২টি করে উইকেট।