× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সৎমেয়েকে দুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যার চেষ্টা

অনলাইন

লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২১, ২০২০, সোমবার, ৭:৫৭ পূর্বাহ্ন

ভোলার লালমোহনে ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীকে দুধের সাথে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন সৎ মা। পরে তাকে লালমোহন হাসপাতালে আনলে অবস্থার অবনতি দেখে লালমোহন থানার ওসি ভোলা হাসপাতালে পাঠান। রোববার রাতে উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রিয়া নামের ওই স্কুল ছাত্রী বর্তমানে ভোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রিয়া জানান, তার সৎ মা আসমা তাকে আদর করে এক গ্লাস দুধ এনে খেতে বলে। রিয়া সেই দুধ খায়। এরপর তার পেটে ব্যথা শুরু হয় ও মাথা ঝিমুনী দিয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। স্থানীয় রফিক বেপারী জানান, রিয়াকে রাতে তার খালা ও বাবা গজারিয়া বাজারে পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসে।
তখন তার অবস্থা খারাপ দেখি। সেসময় রিয়া জানান, তার সৎ মা তার সাথে কথা বলতো না। আজ তার সৎ মা আসমা তাকে আদর করে এক গ্লাস দুধ খাওয়ায়। যে গ্লাসে দুধ খাওয়ানো হয়েছে সেই গ্লাসটি তাদের ঘরে আগে ছিল না। দুধ খাওয়ার পর থেকে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে রিয়াকে দ্রুত লালমোহন হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।
রিয়ার বাবা সিরাজ গজারিয়া এলাকায় রিক্সা চালান। তিনি জানান, সারাদিন রিক্সা চালিয়ে বাড়ি ফেরার পর জানতে পারি রিয়ার অসুস্থ্য হওয়ার কথা। সেসময় সবাই জানায় রিয়াকে তার সৎ মা বিষাক্ত দুধ খাইয়েছে। তিনি আরো জানান, আমি ঘরে দুধ রাখি না। আমার স্ত্রী দুধ কোথায় পেলো আমি জানিনা। রিয়ার মা রেণু গত বছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। রিয়াসহ ওই ঘরে তার আরো দুই ছেলে রয়েছে। এরপর প্রায় তিন চার মাস আগে আসমাকে বিয়ে করেন সিরাজ।
লালমোহন হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডাঃ আব্দুল্লা আল মুর্শিদ জানান, রিয়াকে হাসপাতালে আনা হয় রাত ৮.৪০ মিনিটে। তার অবস্থা বেশি একটা ভালো ছিল না। তাকে যে কোন বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়েছে। তাই তাকে ভোলা হাসপাতালে দ্রুত নেওয়ার জন্য বলি।
রিয়াকে ভোলা নেওয়ার জন্য খরচ না থাকায় লালমোহন থানার ওসি মাকসুদুর রহমান মুরাদ নিজ খরচে রাতেই রিয়াকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। তিনি জানান, রিয়ার চিকিৎসা হোক। তার সাথে একজন পুলিশ রয়েছে। রিয়ার সৎ মা আসমাকে থানায় আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর