পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলো ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ২৩শে সেপ্টেম্বর থেকে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে ওয়ালটন হাই-টেকের শেয়ার লেনদেন শুরু হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে। বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড হিসেবেও ওয়ালটনের স্বীকৃতি রয়েছে।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের কোম্পানি সচিব পার্থ প্রতিম দাশ বলেন, ওয়ালটন শেয়ারের জন্য বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘদিন ধরে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন। আশা করছি- পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হলে বিনিয়োগকারীরা খুশি হবেন। বিনিয়োগকারীদের কাঙ্খিত প্রত্যাশা পূরণ করতে ওয়ালটন সব সময় সচেষ্ট থাকবে।
জানা গেছে, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের আইপিও আবেদন গত ৯ আগস্ট শুরু হয়ে ১৬ আগস্ট শেষ হয়।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত ৩৯ কোটি ৩ লাখ টাকার বিপরীতে ৩৭৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার আবেদন জমা পড়ে ওয়ালটনের আইপিওতে, যা ৯ দশমিক ৫৯ গুন বেশি। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে গত ৬ সেপ্টেম্বর ওয়ালটনের শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এদিকে গত রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) লটারিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) মাধ্যমে জমা হয়েছে।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এর মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬০ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮০৫ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৯ কোটি ৩ লাখ ৪২ হাজার ১৯৫ টাকা সংগ্রহ করেছে। সংগৃহীত টাকা থেকে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যবসা সম্প্রসারণ, ৩৩ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ ও ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা আইপিও পরিচালনা বাবদ ব্যয় করা হবে। এর আগে গত ২ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ওয়ালটনের নিলাম (বিডিং) শেষ হয়। দেশে সর্বপ্রথম ডাচ পদ্ধতিতে বিডিংয়ের মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণ করা হয় ৩১৫ টাকা।
২০১৯ সালের ৩০শে জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, ওয়ালটন হাই-টেকের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য বা এনএভি ২৪৩.১৬ টাকা এবং শেয়ার প্রতি মুনাফা বা ইপিএস ৪৫.৮৭ টাকা। আর বিগত ৫টি আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী কর পরবর্তী নিট মুনাফার ভারিত গড় হারে ইপিএস অর্জিত হয়েছে ২৮.৪২ টাকা।