সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় এক তরুণী কে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে মুঠোফোনে নগ্ন ছবি তুলে পরিবারের কাছে টাকা দাবি করার ঘটনায় তরুনী বাদী হয়ে পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনার অভিযোগে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ এক যুবককে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছ থেকে তরুণীর নগ্ন ছবি সংবলিত মুঠোফোন উদ্ধার করে। ২১ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারকৃত যুবককে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিবরণ দিয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের এক ব্যক্তির মেয়ে (২১) কে ২০১৫ সালে সৈয়দপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সময় বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইসহাকপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে সুয়েবুর রহমান মুন্না তাকে অটোরিকশা দিয়ে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাস্থানে। দুই তিন ঘণ্টা পর তাকে বাড়ির সামনে রেখে চলে যায়। ঘটনার সময়ের কথা মেয়েটির মনে নেই।
ঘটনার এক সপ্তাহ পর সুয়েবুর রহমান মেয়েটির বড় বোনের মুঠোফোনে তরুণীর একটি নগ্ন ছবি পাঠায় এবং টাকা দাবি করে। মেয়েটির পরিবার লোকলজ্জার ভয়ে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ছবিটি মুঠোফোন থেকে কর্তন করার দফারফা করে। ৫ বছর পর আবারো মেয়েটির বোনের মুঠোফোনে ফোন করে টাকা দাবি করে সুয়েবুর। এতে তরুনীর পরিবার রাজি না হওয়ায় ১০ সেপ্টেম্বর সিলেট থেকে অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে পরিবারের সাথে মেয়েটিকে দেখে গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
এ ঘটনায় ২০ সেপ্টেম্বর তরুণী নিজে বাদী হয়ে যুবকের বিরুদ্ধে পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে।
জগন্নাথপুর থানার উপ পরিদর্শক এস আই রাজিব রহমান জানান, মেয়েটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং নগ্ন ছবি সংবলিত মুঠোফোনটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত যুবককে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।