চট্টগ্রাম হাটহাজারীতে এনজিওর কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় রুপনা শর্মা (৩৮) নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। নিহত কক্সবাজার রামু উপজেলার খাওয়ারপুর এলাকার অরুণ কুমারের স্ত্রী মৃত চন্দ্র মোহনের কন্যা। তবে বিয়ের পর থেকেই নিহতের পিতার বাড়ি উত্তর মেখল মোজাফফরপুর এলাকার রশিদ ডাক্তারের বাড়িতে থাকেন। তাদের ঘরে জবা শর্মা (১৯), নন্দিত শর্মা (১৪) ও জীবন শর্মা (৭) নামে তিন সন্তান রয়েছে। সোমবার রাতের যে কোন সময় টিনশেড ঘরের তীরের সাথে গলায় ওরনা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। মঙ্গলবার ঘটনার খবর পেয়ে দুপুর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক মর্গে পাঠিয়ে দেয়। পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহতের স্বামী সেলুনের কাজ করলেও সংসারে অভাব অনটন লেগে ছিল। ফলে পারিবারিক প্রয়োজনে বেসরকারি আশা, গ্রামীণ, মুক্তিপথ, ঘাসফুল, সাজাদা, ব্র্যাক, প্রত্যাশা সহ মোট ৭টি এনজিওসহ বিভিন্ন জন থেকে ঋণ নেয়।
সব মিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত হন নিহত রুপনা শর্মা। আগে নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করলেও করোনা মহামারির কারণে স্বামীর নিয়মিত কাজ না থাকায় সঠিক সময়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। করোনার সময় সরকারি ভাবে ঋণের কিস্তি সংগ্রহে বিধিনিষেধ আসায় কিস্তি না দিলেও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রতিদিন কিস্তি দিতে হয় রুপনা শর্মাকে। আর তাতেই চরম মানসিক চাপে পড়ে রুপনা শর্মা। এ কারণেই আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় নিহতের বড় মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী জবা শর্মা।
এদিকে ইউপি সদস্য কাইয়ুম মেম্বার থানা পুলিশকে খবর দিলে হাটহাজারী মডেল থানার এসআই মুজাহিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে পাঠিয়ে দেয়। প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা বলে ধারনা করছেন পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর বাকীটা জানা যাবে। সত্যতা স্বীকার করে ওসি মাসুদ আলম বলেন, থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।