× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ধর্ষক আইনজীবীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

বাংলারজমিন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, বুধবার

সনাতন ধর্মাবলম্বী দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণকারী আইনজীবী এইচএম হাবিবুর রহমানের ফাঁসি ও সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে শহরের পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের পাশে শহীদ মিনারের সামনে বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ পঞ্চগড় জেলা শাখা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে। পরে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে একটি আবেদন পাঠানো হয়। মানববন্ধনে বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিপেন চন্দ্র রায়, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের সভাপতি কল্যাণ কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়, জেলা পরিষদ সদস্য আকতারুন নাহার সাকী ও ওই শিক্ষার্থীর পিতা বক্তব্য দেন। জানা যায়, গত ১১ই সেপ্টেম্বর সকালে ওই ছাত্রীর বাবার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেয়ার কথা বলে আইনজীবী হাবিব তাকে তার মাসির বাড়ি থেকে নিয়ে আটোয়ারী মির্জা গোলাম হাফিজ ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন কালিকাপুর গ্রামের মুচি (জুতা মেরামতকারী) সুশীল চন্দ্র রায়ের বাড়িতে নিয়ে আসে। সেখানে সুশীল ও তার স্ত্রী শুকনির সহায়তায় হাবিব ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
সনাতন ধর্মাবলম্বী সুশীলের বাড়িতে হাবিবের সঙ্গে ওই ছাত্রীর আসার বিষয়টি স্থানীয় লোকজনদের সন্দেহ হয়। পরে লোকজন ওই ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় হাবিবকে আটক করে।
অভিভাবকরা ঘটনাস্থলে আসার পর ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাতে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আটক আইনজীবী হাবিবকে রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জাহেদের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বিকালে হাবিবকে আটোয়ারী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা ১১ই সেপ্টেম্বর রাতে অভিযুক্ত আইনজীবী এইচ এম হাবিবুর রহমান হাবিবকে প্রধান আসামি ও ধর্ষণে সহায়তাকারী হিসেবে সুশীল চন্দ্র ও তার স্ত্রী শুকনিকে আসামি করে আটোয়ারী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরদিন ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আইনজীবী হাবিবকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ। আইনজীবী হাবিব সুদের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। ওই ছাত্রীর বাবা, সুশীল সুদে টাকা নেয়ার সুবাদে হাবিবের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। ওই ছাত্রীর মা সাংবাদিকদের জানান, হাবিবের কাছে ১৫ হাজার টাকা সুদের  লেনদেন ছিল। এ সূত্র ধরেই আমার মেয়ের সঙ্গে হাবিবের পরিচয়। হাবিব প্রায়ই আমার মেয়েকে ফোনে উত্ত্যক্ত করতো। দুয়েকবার বাসাতেও এসেছিল। আমার মাসির বাড়ি দাড়িমুনি বারঘাটি থেকে হাবিব আমার মেয়েকে তার বাবার সঙ্গে দেখা করানোর কথা বলে নিয়ে যায়। পরে খবর পাই সুশীলের বাড়িতে তাকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে। আমি তার সুষ্ঠু বিচার চাই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আটোয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আইনজীবী হাবিবকে চার দিনের রিমান্ডে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। রোববার রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত দুইদিন জেলগেটে (কারাফটকে) জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। জেলগেটে তাকে সোমবার ও মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, এ ঘটনায় গত ১৪ই সেপ্টেম্বর সকালে পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির এক জরুরি সভায় আইনজীবী হাবিবুর রহমান হাবিবের সদস্য পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর