× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গার্ডিয়ানের রিপোর্ট / ভ্যাকসিন বণ্টনে ১৫৬ দেশের চুক্তি

শেষের পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, বুধবার

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের বণ্টন নিয়ে ঐতিহাসিক এক চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ১৫৬টি দেশ। এ চুক্তির ফলে কোনো ভ্যাকসিন কার্যকরী প্রমাণিত হলে তা কম সময়ের মধ্যে এবং সাম্যতার ভিত্তিতে বিশ্বের দেশগুলোতে বিতরণ করা হবে। এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন আবিষ্কারে যেসব রাষ্ট্র এগিয়ে আছে তার সবগুলোই শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। ফলে এই ভ্যাকসিন বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর কাছে পৌঁছাতে তুলনামূলকভাবে অনেক দেরি হবে- এমন আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। তবে নতুন চুক্তি বলছে, কোনো কার্যকরী ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়া মাত্রই তার স্বাক্ষরকারী প্রতিটি রাষ্ট্রে পাঠানো হবে। বেছে নেয়া হবে প্রতিটি দেশের তিন শতাংশ নাগরিককে। যেসব দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল এবং সম্মুখযোদ্ধারা ঝুঁকিতে রয়েছেন সেসব দেশে প্রথম দিকেই সুরক্ষা নিশ্চিত করবে এ চুক্তি। এ খবর দিয়েছে বৃটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
ধনী দেশগুলোর সঙ্গে যেনো দরিদ্র ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোও ভ্যাকসিন পায় সেটি নিশ্চিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মিলে কোভ্যাক্স কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে, আগামী বছরের মধ্যেই বিশ্বের ২০০ কোটি মানুষের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়া। এর বিতরণ হবে সাম্যতার ভিত্তিতে অংশগ্রহণকারী সব দেশে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সরকার, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী কোমপানি ও সংস্থা এই প্রকল্পে ১৪০ কোটি ডলার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। প্রথমদিকে দেশগুলোর তিন শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। তবে পরবর্তীতে এটিকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে। এ জন্য প্রাধান্য দেয়া হবে দেশের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে। এ নিয়ে একটি সম্মেলন করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম। তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে যারা সব থেকে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন তাদেরকেই এই প্রকল্পে প্রাধান্য দেয়া হবে। গুটিকয়েক দেশের সব মানুষকে ভ্যাকসিন না দিয়ে এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি দেশেরই কিছু মানুষকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।
এর আগেও ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরপরই বিশ্বের সকল মানুষের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিতে এক হয়েছে গ্যাভি, ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও সেপির মতো সংস্থাগুলো। এর নাম দেয়া হয়েছে কোভ্যাক্স। এর অধীনে শুধু ভ্যাকসিনই নয়, করোনার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের সরবরাহও নিশ্চিত করবে জোটটি। কোভ্যাক্সে যোগ দিয়েছে শক্তিশালী অর্থনীতির ৬৪ রাষ্ট্র। এ ছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, এতে সহায়তা করবে। আশা করা হচ্ছে, শিগগিরই এতে যোগ দেবে আরো অন্তত ৩৮ দেশ। ৩৫ দেশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সাহায্য করার। ভ্যাকসিন বণ্টন নিয়ে নতুন স্বাক্ষরিত চুক্তিকে ঐতিহাসিক ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেছেন সেপির প্রধান নির্বাহী রিচার্প হ্যাচেট। এ ছাড়া, গ্যাভির প্রধান নির্বাহী সেথ বার্কলেও একে স্বাগত জানিয়ে বলেন, শুধু নিজেদের জনগণের কথা চিন্তা না করে বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে মিলে ভ্যাকসিনের বণ্টন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বিশ্বের সর্বপ্রান্তেই ঝুঁকিপূর্ণদের ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর