জয়ের জন্য চেন্নাই সুপার কিংসকে করতে হবে ২১৭ রান- এমন ম্যাচে সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন দলীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ১৪তম ওভারে তিনি যখন ক্রিজে আসেন, দলের সংগ্রহ তখন ৫ উইকেটে ১১৪ রান। ১৭ বলে ২৯* রান করলেও চেন্নাইকে জেতাতে পারেননি ধোনি। মঙ্গলবার আইপিএলের ম্যাচটিতে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ১৬ রানে হেরে যায় চেন্নাই সুপার কিংস। চেন্নাইয়ের হারে ধোনির ওপরই দায় বেশি চাপানো হচ্ছে। ক্রিকেট-বোদ্ধারা মনে করেন, ধোনি সাতে ব্যাটিংয়ে না নেমে আরো আগে নামলে ম্যাচটা জিততেও পারতো চেন্নাই।
রান তাড়ায় ৫৬ রানের ওপেনিং জুটির পর ২১ রানের মধ্যে ৪ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় চেন্নাই। একে একে শেন ওয়াটসন, মুরালি বিজয়, স্যাম কারেন ও রুতুরাজ গায়কোয়াড় ফেরেন সাজঘরে। শূন্য রানে গায়কোয়াড়ের বিদায়ের পরও নামেননি ধোনি।
ব্যাটিংয়ে পাঠান কেদার যাদবকে। যাদব ১৬ বলে ২২ রান করে আউট হন। এরপর নামেন ধোনি। ৩৮ বলে ১০৩ রান দরকার তখন চেন্নাইয়ের। তিনে নামা ফাফ ডু প্লেসি চেষ্টা করেছিলেন। প্রথম ১৮ বলে ১৭ রান করলেও ১৭তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ২৯ বলে পূর্ণ করেন হাফসেঞ্চুরি। পরের ৮ বলে আরো ১৭ রান যোগ করে ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন ডু প্লেসি (৩৭ বলে ৭২)। ধোনির রান তখন ১২ বলে ৯!
গৌতম গম্ভীর অবাকই হয়েছেন ধোনির এমন ব্যাটিংয়ে। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ‘টি-টোয়েন্টি টাইম আউট’ অনুষ্ঠানে সাবেক এই ওপেনার বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি কিছুটা অবাক হয়েছি। এমএস ধোনি ৭-এ ব্যাটি করেছে? নিজে না গিয়ে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে গায়কোয়াড় ও স্যাম কারেনকে। এটার কোনো মানে নেই আমার কাছে।’
শেষ ওভারে ৩টি ছক্কা হাঁকান ধোনি। তবে সেগুলো দলের হারের ব্যবধানই কমিয়েছে কেবল। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে দু’বার আইপিএল শিরোপা জেতানো গম্ভীর বলেন, ‘আপনি শেষ ওভারে ধোনির ছক্কাগুলোর কথা বলতে পারেন। কিন্তু সত্যি বলতে সেগুলো ছিল গুরুত্বহীন। ওর ব্যক্তিগত রানই বাড়িয়েছে শুধু। আগে নেমে তাড়াতাড়ি আউট হয়ে গেলেও দোষের কিছু নেই। অন্তত সামনে থেকে তো দলকে নেতৃত্ব দেবেন!’
ধোনি অবশ্য সাতে ব্যাটিংয়ে নামার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি অনেকদিন ধরে ব্যাট হাতে নিইনি। এখানে (সংযুক্ত আরব আমিরাত) এসে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে ১৪ দিন। সেটিও পিছিয়ে দিয়েছে।’