× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

১৯৭৬ পৃষ্ঠার নির্দেশনাও স্বাস্থ্যের নৈরাজ্য কমাতে পারেনি: আ স ম রব

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০, বুধবার, ৫:০১ পূর্বাহ্ন

করোনা মোকাবিলায় সরকার যে সকল নির্দেশনা জারি করেছে তার পরিমাণ এক হাজার ৯৭৬ পৃষ্ঠা কিন্তু এসব নির্দেশনাও স্বাস্থ্যখাতের  নৈরাজ্য কমাতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে আ স ম রব বলেন, করোনায় সংক্রমণ ধরা পড়ার ২০০ দিনের মাথায় বাংলাদেশে পাঁচ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। যদিও সরকার দাবি করছে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় যে সকল নির্দেশনা জারি করেছে তার পরিমাণ এক হাজার ৯৭৬ পৃষ্ঠা। এ সকল নির্দেশনা জনজীবনের সুরক্ষা, স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি প্রতিকারে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি।

তিনি বলেন, সংক্রমণ এবং মৃত্যু অব্যাহত থাকার মাঝেই প্রধানমন্ত্রী নিজেই আশংকা প্রকাশ করে বলেছেন শীতকালে করোনা ভাইরাসের আরো অবনতি হতে পারে এবং বাংলাদেশ দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত প্রকাশ করছেন। শীতকালীন করোনা মোকাবিলা নিয়ে সরকার নিজ নিজ মন্ত্রণালয়কে কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু ভঙ্গুর, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অদক্ষ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা দিয়ে  করোনা মোকাবেলা সম্ভব নয়।
স্বাস্থ্য খাতের লন্ডভন্ড অবস্থা এবং দুর্নীতির যে চিত্র উন্মোচিত হয়েছে তারপরও এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অক্ষত রেখে যেকোনো পরিকল্পনা হবে মানুষের মূল্যবান জীবনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবার প্রচেষ্টা।
আ স ম রব বলেন, করোনা মোকাবিলায় সরকারের এক হাজার ৯৭৬ পৃষ্ঠার নির্দেশনা জাতি প্রত্যক্ষ করেছে। এখন শুধু দরকার এক পৃষ্ঠার একটি নির্দেশনা যার মাধ্যমে লন্ডভন্ড স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কার সম্পন্ন হবে। স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক সংস্কারে জনগণের জীবন সুরক্ষা পাবে, স্বাস্থ্য খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং জনগণ চিকিৎসার মত মৌলিক অধিকারের সুরক্ষায় নিশ্চয়তা পাবে।

ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে এখনই সম্পূর্ণরূপে ঢেলে সাজাতে হবে। স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারের লক্ষ্যে-
(১) 'জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল'(ঘঐঈ) গঠন করতে হবে।

(২) জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিলে' চিকিৎসা পেশায় সংশ্লিষ্টদের সহ জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অধিকারী  সাংবাদিক, প্রকৌশলী, কৃষিবিদ আইনজীবী, বুদ্ধিজীবী ব্যাংকার সহ সমাজের বিভিন্ন অংশীজনকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

(৩) 'জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল' এর পরামর্শ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করে করোনার ভয়াবহতা মোকাবেলাসহ জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

করোনার ভয়াবহ সংকটকালে স্বাস্থ্য খাতে সংস্কার ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারের এক পৃষ্ঠার নির্দেশনা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আশা করছি সরকার সংস্কারের প্রশ্নে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর