দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ সন্ত্রাসীদের হামলায় মো. তাজুল ইসলাম রিপন (৩১) নামে বাংলাদেশি এক যুবক নিহত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার পুমালাঙ্গা প্রভিন্সের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গত মঙ্গলবার রাতে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে খুন হন রিপন। নিহত রিপন ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পূর্ব ছাগলনাইয়া গ্রামের আলাবক্স পাটোয়ারী বাড়ির আবুল বাশারের ছেলে।
নিহত রিপনের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম লিটনের স্ত্রী পলি জানান, আফ্রিকার সময় গত মঙ্গলবার রাতে রিপন তার দোকানে অবস্থান করছিলো। এ সময় তার দোকানের সাবেক দুই কৃষ্ণাঙ্গ কর্মচারী তার সঙ্গে দেখা করতে আসে। একপর্যায়ে তারা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে রিপনকে হত্যা করে। পরে তারা দোকানের ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে পরদিন সকালে খবর পেয়ে পুলিশ রিপনের মরদেহ উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। রিপনের মৃত্যু সংবাদটি স্থানীয় অপর বাংলাদেশিদের মাধ্যমে গত বুধবার সন্ধ্যায় জানতে পারে স্বজনরা। নিহত রিপনের ভাবি পলি আরো জানান, আট বছর আগে ২০১৩ সালে ধারদেনা করে দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়েছিলেন রিপন।
সেখানে অন্য দোকানে কিছুদিন কাজ করলেও পরে তিনি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। দোকান পরিচালনার জন্য স্থানীয় পুমালাঙ্গা প্রভিন্সের একজন কর্মচারী নিয়োগ দেন রিপন। ওই কর্মচারী রাতে দোকানেই থাকতো। পাশের কক্ষে থাকতেন রিপন।
এদিকে ওই এলাকার অপর এক ব্যবসায়ী ফেনী সদর উপজেলার শিবপুর গ্রামের মঞ্জুর আলম দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে জানান, রিপন বাঙালি এক যুবকের সঙ্গে শেয়ারে ব্যবসা করতেন। রিপন দোকান পরিচালনা করলেও তার পার্টনার অন্যত্র ব্যবসা করতেন। রিপন খুনের পর থেকে তারও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার সঙ্গে রিপনের ৭-৮ লাখ টাকার লেনদেন রয়েছে বলেও তিনি জানান।
নিহত রিপন দুই ভাই এক বোনের মধ্যে মেজো ছিল। রিপনের মৃত্যুর খবরে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন রিপনের বাবা আবুল বাশার ও মা আয়েশা আক্তার। তারা রিপনের মরদেহ দেশে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।