× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আত্রাইয়ে টর্নেডোর আঘাতে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

বাংলারজমিন

নওগাঁ প্রতিনিধি
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার

নওগাঁর আত্রাইয়ে আকস্মিক টর্নেডোর আঘাতে দুই গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়েছে। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধিক পরিবার বৃষ্টি মাথায় নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর অবস্থায় দিবানিশি পাড়ি দিচ্ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের ইসলামগাতি ও জগদাশ গ্রামে। বুধবার ও গতকাল দুই গ্রামে ৩৪০ পরিবারে শুকনো খাবার বিতরণ করেছে আত্রাই উপজেলা প্রশাসন।
গাছপালা ও দেয়াল চাপা পড়ে শিশুসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫ জন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিদ্যুতের ৫টি খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় ওই দুটি গ্রামে বিদ্যুৎ’ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার নিতাই চন্দ্র ঘোষ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে আকস্মিক টর্নেডোর আঘাত হানার ফলে সড়কে গাছপালা পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে আমাদের একটি ইউনিট কাজ করেছে। গত বুধবার বিকাল পর্যন্ত তারা ঘটনাস্থলে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আফসার আলী প্রামাণিক বলেন, আমি সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং টর্নেডোর কারণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দুই গ্রামে। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহায়তার দাবি জানান। ইউপি সদস্য মাহবুবুল আলম বলেন, ৩ দিন ধরে জগদাশ গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে আবার বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে থাকা পরিবারগুলোকে বৃষ্টির কারণে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বিশা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, ইসলামগাতি গ্রামে প্রায় দেড় শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল এই গ্রামের ২৫০ পরিবারে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া টিসিবির পণ্য ওই দুই গ্রামে বিতরণ চলছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছানাউল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে জানান, হঠাৎ করেই টর্নেডোর আঘাতে উপজেলার ইসলামগাতি ও জগদাশ গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে- এমন অনেক পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে গত বুধবার জগদাশ গ্রামে ৯০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে শুকনা খাবার দেয়া হয়েছে এবং গতকাল ইসলামগাতিতে ২৫০ পরিবারে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তালিকা শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহ নির্মাণেরও জন্য টিন, অর্থসহ অন্যান্য উপকরণ সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর