২৩শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসার কথা ছিল কিউই স্পিন কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টরির। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন জানিয়েছিলেন, ভেট্টরি ঢাকায় এসেই যাবেন শ্রীলঙ্কা সফরে। অবশ্য এর আগে কথা ছিল তিনি শ্রীলঙ্কায় যোগ  দিবেন দলের সঙ্গে। তবে এই সফর নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় এখন তার আসা নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। আপাতত তিনি আসছেন না। সেই সঙ্গে তার ১০০ দিনের চুক্তিও শেষ হয়ে যাচ্ছে এই নভেম্বরে। কথা ছিল ২০২০ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মধ্যে তার টাইগারদের সঙ্গে দিন ভিত্তিতে কাজ হবে। মার্চের পর থেকে করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশ দলের খেলা বন্ধ। আর শ্রীলঙ্কা সফর যদি শেষ পর্যন্ত না হয় তাহলে হয়তো টাইগারদের এই স্পিন কোচের আর আসা হবে না। তাহলে কি ভেট্টরির সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে হবে! বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন সুজন অবশ্য জানালেন চুক্তিটি হয়েছিল দিনের ভিত্তিতে। তাই তিনি দেশে আবার যেদিন আসবেন সেদিন থেকেই নতুন করে গণনা হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ভেট্টরির চুক্তি হয়েছিল দিন হিসেবে। তবে কথা ছিল সেই ১০০ দিন আমরা শেষ করবো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মধ্যে। তবে এরমধ্যে বিশ্বের যে পরিস্থিতি তাতে তিনি আর কাজ করতে পারেননি। যেহেতু তার সঙ্গে আমাদের দিনের ভিত্তিতে চুক্তি সেহেতু ১০০ দিন শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে আমরা পাচ্ছি না।’ অন্যদিকে বিসিবি ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে রাখতে ভীষণ আগ্রহী বলেই জানিয়েছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান। তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা সিরিজ চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ভেট্টরি আসছেন না বাংলাদেশে। আর তার চুক্তির বিষয়টা নিয়ে কাজ করেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী (সিইও)। তিনিই বলতে পারবেন। তবে তাকে আমরা নিয়মিত করতে চাই। তার ১০০ দিনের যে কাজ সেটি পূর্ণ হলেও আমরা চাইবো তার (সঙ্গে) কাজ করতে যদি সে তাতে রাজি হয়।’ গেল বছর ভারত সফরে বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচের দায়িত্ব নেন ড্যানিয়েল ভেট্টরি। তবে এই কোচের টাইগারদের সঙ্গে খুব বেশিদিন কাজ করার সুযোগ হয়নি। ভারত সফর থেকে তিনি কাজ করেন জিম্বাবুয়ে সিরিজ পর্যন্ত। তবে এই বছর তিনি দলের সঙ্গে জাননি পাকিস্তান সফরে। এরপর মার্চ থেকে দেশের ক্রিকেট স্থগিত হয়ে যায়। তাই নিজ দেশ নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরে আসেননি বাংলাদেশে। আর শ্রীলঙ্কা বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তার আসার সুযোগও খুব কম বলে ধারণা করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তার বাংলাদেশে আসা হবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে শঙ্কা!।