× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নুর অন্যায় করলে বিচার হবে, হয়রানি করা যাবে না

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আজকে দুর্নীতি কোথায় পৌঁছেছে, সবচেয়ে বড় দুর্নীতি সরকার স্বয়ং। এখানে মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার হরণ করে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে, তার চেয়ে বড় দুর্নীতি কি হতে পারে? মালেকের দুই তলা, সাত তলা দুটা বাড়ি, আবজালের ১০টা বাড়ি, বা ১০ কোটি থেকে অনেক বেশি দুর্নীতি আমি মনে করি সরকারের। সরকার তার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছে। সরকারের অন্যায় আচরণ দেশকে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। এজন্য আজকে সরকারকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে চাই, এখনো সময় আছে, সংশোধন প্রয়োজন। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকে আমি খুব বেশি মর্মবেদনায় আছি। আজকে ভিপি নুর যদি অন্যায় করে থাকে, সেটার বিচার হবে।
তাই বলে তাকে হয়রানি করা যাবে না। ছাত্র রাজনীতি একটা প্রসেশন করে, তাদের বের হতে দেবেন না, সেটা তো হয় না। আপনারা জনগণকে বের হতে দিচ্ছেন না। সেজন্য দেশটা নৈরাজ্যের দিকে চলছে। পুলিশি ধরপাকড়ের সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যখন দেশে অনাচার বেড়ে যায়, ব্যথায় মানুষ নীল হয়ে যায়, তখনই ছাত্রসমাজ জাগে, ছাত্রসমাজ সচেতন করে। যখন চূড়ান্ত রকম অব্যবস্থাপনা তখনই ছাত্রসমাজ রাস্তায় নামে। সেদিনও যারা রাস্তায় নেমেছে, তারা কি গাড়ি ভেঙেছে? কাউকে মেরেছে? পুলিশ লাঠি দিয়ে... সোটা দিয়ে পরে উল্টো তাদের হয়রানি করেছে। এ জাতীয় স্বৈরাচারী নীতি কখনো দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসব বন্ধ করেন, এটা আপনার স্বার্থে। আজকে প্রয়োজন ন্যায়-নীতি, সুষ্ঠু সুশাসন; সুশাসন না হলে হবে না।
ডিজিটাল আইনকে ‘অগণতান্ত্রিক, অনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বিনা বিচারে হত্যার শামিল। আজকে রাজনীতিবিদদের সহনশীল হতে হবে। সমালোচনা সহ্য করতে হবে। আজকে এখানে মনে রাখা দরকার, দুর্নীতির কোন্‌ পর্যায়ে আছি আমরা। সরকার তো নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত। তারা নিজে অন্ধ হয়ে গেছে। তারা ভুলভ্রান্তি দেখতে পাচ্ছেন না। ফলে সবার কণ্ঠরোধ করছে।
বাংলাদেশ ও সৌদি শ্রমিকদের সংকট বিষয়ে তিনি বলেন, যখন করোনা আসে, আমি তখন বলেছিলাম আমাদের উচিত হবে, সারা পৃথিবীতে আমাদের এক কোটি শ্রমিক ভাই-বোনেরা বিদেশে আছেন, তাদের চাকরি নিশ্চিত করা। এতদিন তারা আমাদের দেখাশোনা করেছে, সরকারের উচিত হবে কয়েক কোটি ডলার তাদেরকে পাঠানো, দেশগুলোর সঙ্গে সমঝোতা করা। ভারতের করোনার টিকা বাংলাদেশে ট্রায়াল করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত তো অন্যের জন্য ঠিকাদারি করছে। ভারতের তো এটা নিজস্ব আবিষ্কার বা কিছু না। একটি আন্তর্জাতিক জায়গায় গেলেও ভারতীয়রা নিজেদের সবসময় ভারতীয় ভাবে, কিন্তু আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক ভাবি। ফলে আমাদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারি না আমরা। আমাদের স্বার্থ যে জোরেশোরে বলতে হবে, সেটায় ব্যর্থ হচ্ছি আমরা। এর একটা কারণ আমাদের দেশের সুশাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, আমি কথা বলতে পারছি না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর