উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে সিলেটের গোয়াইনঘাটের নদ-নদীর পানি। গতকাল ভোর রাত থেকে উজানে ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে পিয়াইন, সারী, গোয়াইনের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। ৬ষ্ঠ বারের মতো প্লাবিত সিলেটের গোয়াইনঘাটের ফসলের মাঠ, ঘরবাড়ি। হু হু করে বাড়ছে বানের পানি। উপজেলার প্রায় সবক’টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের পাশাপাশি নিচু এলাকার ঘর-বাড়িতে ঢুকছে বন্যার পানি। বন্ধ রয়েছে সারী-গোয়াইন, গোয়াইনঘাট, রাধানগর-জাফলং সড়কের যান চলাচল। অপরদিকে বিভিন্ন স্থানে সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় সালুটিকর গোয়াইনঘাট সড়কের অবস্থাও প্রায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এসব সড়কের বিভিন্নস্থানে আবারো নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে এবারের বন্যায়ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তলিয়ে গেছে উপজেলার সিংহভাগ আমন ধান, আর শীতকালীন আগাম সবজির মাঠ। বিশেষ করে ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি রয়েছে মাঠে রোপিত ১৫ হাজার ১শ’ ৭০ হেক্টর আমন ধান। আগামী দু-চার দিনের ভিতরে যদি বানের পানি সরে না যায় তবে তলিয়ে যাওয়া এসব ফসল বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে শঙ্কা কৃষি বিভাগের। গতকাল শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সুলতান আলী জানান, গোয়াইনঘাটের বিভিন্নস্থান হতে রোপা আম ধান নিমজ্জিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত খবরে যা জানা গেছে তাতে ধারণা করা হচ্ছে ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল ও শীতকালীন আগাম সবজি ক্ষেত সমূহ তলিয়ে গেছে। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজমুস সাকিব জানান, এ পর্যন্ত গোয়াইনঘাটে ৯ হাজার মানুষ পানিবন্দি হওয়ার পাশাপাশি উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষাকারী সবক’টি সড়ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পেয়েছি। বন্যায় প্লাবিত এলাকার জনসাধারণের জন্য জরুরি ত্রাণ চেয়েছি, বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেথ বন্যার্তদের মধ্যে তা বণ্টন করা হবে।