আওয়ামী লীগ নেত্রী ও বিএনপি নেতার নির্যাতনের শিকার সেই নারীকে তার স্বামীর জিম্মায় পুলিশি নিরাপত্তা দিতে ঝালকাঠির পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
গত ৩০শে আগস্ট রাতে শহরের পূর্বচাঁদকাঠি এলাকার ব্যবসায়ী বোরহান উদ্দিন খানের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসা. পারভীনকে (৩০) জেলা পরিষদের সামনের একটি বাড়িতে মারধর করা হয়। এরপর সেখান থেকে তুলে নিয়ে পূর্বচাঁদকাঠির একটি বাড়িতে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শেষে চুল কেটে দেয়া হয় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমীন মৌসুমি কেকার নেতৃত্বে। এ ব্যাপারে নির্যাতিত নারী বাদী হয়ে ১৭শে সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শারমীন মৌসুমি কেকা, শহর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান তাপুসহ ৬ জনের নামে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন। আদালত ঝালকাঠি থানার ওসিকে অভিযোগ এফআইআর হিসাবে রেকর্ডের নির্দেশ দেন। ওইদিন রাতেই ঝালকাঠি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রেকর্ড হয়। মামলার পর তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মিন্টু মিয়া ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি’র ফুটেজ হার্ডডিস্কসহ জব্দ করেন। মামলা দায়েরের পূর্বে ১৭-১৮ দিন ওই নারী গ্রামের বাড়িতে অবরুদ্ধ ছিলেন।
গত ২০শে সেপ্টেম্বর নির্যাতিত নারীর আইনজীবী শফিকুল ইসলাম আসামিদের অব্যাহত হুমকির কারণে আদালতে এক আবেদনে ভিকটিম পারভীনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন। আদালত মামলার নথি তলব করে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারকে নিরাপত্তার আদেশ দেন। নির্যাতিত নারী পারভীন বলেন, আদালতে মামলা করার আগে আমি ঝালকাঠির পুলিশ সুপারসহ নানাজনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কোনো বিচার পাইনি। এখন আদালতই আমার শেষ ভরসা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাবিবুল্লাহ গতকাল বিকালে বলেন, আদালতের নির্দেশ এখনো আমরা হাতে পাইনি। নির্দেশ হাতে পেলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।