করোনা অতিমারির মধ্যে প্রথম নির্বাচন ঘোষণা করল ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভার ভোট গ্রহণ করা হবে ২৮শে অক্টোবর এবং ৩রা ও ৯ই নভেম্বর। ২০১৫ সালে চার সপ্তাহ ধরে পাঁচ দফায় ভোটের পর এবার এগারো দিনে তিন দফা।
দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা বলেন, আটমারির কারণে মোট সত্তরটি দেশে নির্বাচন বাতিল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু করোনার প্রকোপ না কমায় এটি আজ জীবনের অঙ্গ। অনেক দেশই নির্বাচনের পথে ফিরছে। এর মধ্যে বিহার নির্বাচন একটা এসিড টেস্ট। করোনার মধ্যে ভোট করার জন্য কিছু নতুন নিয়মের প্রবর্তন হয়েছে।
প্রতি বুথে ভোটে দিতে পারবেন ১০০০ জন ভোটার । গতবার সংখ্যাটা ১৫০০ ছিল। বুথের সংখ্যাও এজন্য ৬৭ হাজার ৩৫৭ থেকে বেড়ে এক লাখ ৬ হাজার হচ্ছে।
ভোটগ্রহণ আগে হতো সকাল সাতটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত। এবার একঘন্টা সময়সীমা বাড়িয়ে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত ভোট নেয়া যাবে। যারা করোনার শিকার কিংবা কোয়ারেন্টিনে আছেন তারা পোস্টাল ব্যালট-এ ভোট দিতে পারবেন। মনোনয়ন দাখিল করতে হবে অনলাইন-এ।
ভোট প্রচারে বাড়ি বাড়ি ক্যাম্পেন করতে পারবেন সর্বাধিক পাঁচজন। প্রচারে গাড়ি ও লোকের সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, গণতন্ত্রের পরীক্ষা হবে এই অতিমারির মধ্যে নির্বাচনে। পরীক্ষা মোদির বিজেপিরও । কারণ পান্ডেমিক এর পর এই প্রথম ভোটে করোনাকাল, দেশের আর্থিক অবস্থা, সুশান্ত সিং রাজপূত ইস্যু ওঠে আসবে।
বিহার ভোট-এ বিজেপি লড়ছে নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড এবং রামবিলাস পাশওয়ান এর লোক জনশক্তিকে নিয়ে। প্রতিপক্ষ লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল ও রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস। করোনা আবহে শেষ হাসি কারা হাসে তা দেখার এখন অপেক্ষা।