× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নীরব ভোট বিপ্লবের প্রত্যাশা সমন্বয় পরিষদের

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, রবিবার

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) এখন স্পষ্ট দু’টি প্যানেল। একদিকে কাজী সালাউদ্দিনের সম্মিলিত পরিষদ। অন্যদিকে সমন্বয় পরিষদ গঠন করেছেন শেখ মো. আসলাম, মহিউদ্দিন আহমেদ মহিরা। নির্বাচন নিয়ে নীরবেই কাজ করে যাচ্ছেন তারা। আগামী ৩রা অক্টোবর নির্বাচনে ভোটারদের কাছ থেকে নীরব বিপ্লব প্রত্যাশা করছেন সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীরা।
ইতিমধ্যে দেশের কয়েকটি বিভাগ ও জেলা ঘুরেছেন সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীরা। গতকাল বাসাবো ও মুগদা অঞ্চলের ক্লাবগুলোর কাছে গিয়ে ভোট চেয়েছেন আসলাম, মারুফ হাসানরা। সমন্বয় পরিষদের সহ-সভাপতি প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান বলেন, ‘আমরা ৩রা অক্টোবরের অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করি ওইদিন নীরব ভোট বিপ্লব হবে।
আমরা জয়ী হবোই।’ ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখেন জেলা ও বিভাগের ভোটাররা। তাই তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের (ফোরাম) নেতাদের হাতে। সেই ফোরামের মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু এবার সমন্বয় পরিষদের পক্ষে। তিনি বলেন, ‘গত ১২ বছর আমরা কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্ব দেখেছি। আমাদের প্রাণের খেলা ফুটবলে কোনো উন্নতি করতে পারেননি তিনি। এবার আমরা পরিবর্তন চাই। সমন্বয় পরিষদে অনেক যোগ্য ব্যক্তি রয়েছেন। তারা নির্বাচিত হলে ফুটবলের উন্নয়নে অনেক কিছু করতে পারবেন।’ সহ-সভাপতি প্রার্থী মহিউদ্দিন মহি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী বিধিমালা মেনেই চলছি। শুধু নির্বাচন বিধিভঙ্গ নয়, তাদের নেতৃত্বে অনেক কিছুই ঘটছে। আশাকরি ভোটাররা এর জবাব দেবেন ৩রা অক্টোবর।’
টানা চতুর্থবারের মতো সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) গেল তিনবারের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। ইতিমধ্যে সেই প্যানেলের পরিচিতি এবং ইশতেহারও ঘোষণা করা হয়েছে। এবার সালাউদ্দিন বিরোধী প্যানেল সমন্বয় পরিষদ তাদের প্যানেল ঘোষণা করলো। বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাবস অ্যাসোসিয়েশন- এই দুই সংগঠনের নেতারা মিলে গঠন করেছেন সমন্বয় পরিষদ। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে সমন্বয় পরিষদ তাদের প্যানেল পরিচিতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তবে প্যানেল ঘোষণা করলেও ইশতেহার এখনো ঘোষণা করেনি তারা। আগামী ১লা অক্টোবর সমন্বয় পরিষদ তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবে। সমন্বয় পরিষদ তাদের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল নিয়ে নির্বাচনী ময়দানে নামতে পারেনি। এই প্যানেল থেকে সভাপতি পদে কেউ লড়ছেন না। সহ-সভাপতির ৪ পদের বিনিময়ে সমন্বয় পরিষদ থেকে লড়ছেন মাত্র তিন জন। তবে সিনিয়র সভাপতি (১টি পদ) এবং সদস্য ১৫ জনের বিপরীতে পূর্ণাঙ্গ সদস্যই থাকছে নির্বাচনী লড়াইয়ে। সমন্বয় পরিষদ থেকে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে লড়ছেন শেখ মো. আসলাম। সহ-সভাপতি হিসেবে থাকছেন আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান, মহিউদ্দিন মহি এবং শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান। সমস্বয় পরিষদের ১৫ জন সদস্য হলেন- আমিনুল হক মামুন, আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, টিপু সুলতান, মনজুরুল আহসান, মহিদুর রহমান মিরাজ, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন, আমের খান, আরিফ হোসেন মুন, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ফজলুর রহমান বাবুল, সাইফুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান খান বাবলু, শাকিল মাহমুদ চৌধুরী এবং সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর