× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাতিসংঘে ভাষণ /ভ্যাকসিনের সমবণ্টন ও রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন

কূটনৈতিক রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০, শনিবার, ৯:০৪ পূর্বাহ্ন

জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক মহামারি করোনা (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের সমান প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ(সমবণ্টন) এবং রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভুমিকা চেয়েছেন। সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে উন্নত দেশগুলোর ‘ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ’ এর একটি দৃশ্যমান প্রবণতা দেখা দেয়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সরকার প্রধান জাতিসংঘের ৭৫তম ভার্চ্যুয়াল অধিবেশনে অল্প আগে দেয়া বক্তৃতায় বলেন, ‘আশা করা হচ্ছে বিশ্ব শিগগিরই কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন পাবে। এই ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ প্রমাণ করেছে, আমাদের সকলের ভাগ্য একই সূত্রে গাঁথা। কাজেই সকল দেশ যাতে এই ভ্যাকসিন সময় মত এবং একইসঙ্গে পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। পূর্বে ধারণকৃত এই ভাষণে শেখ হাসিনা দেশের ওষুধ শিল্পের অবকাঠামোগত সক্ষমতার বিষয়টির উল্লেখ করে বলেন, কারিগরি জ্ঞান ও মেধাসত্ব প্রদান করা হলে, এই ভ্যাকসিন বিপুল পরিমাণে উৎপাদনের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রকদের মতে গবেষকরা মানবদেহে ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলিতে ৪২ টি ভ্যাকসিন পরীক্ষা করছেন এবং কমপক্ষে ৯৩ টি প্রাক্কলিত ভ্যাকসিন প্রাণীতে সক্রিয় তদস্তাধীন রয়েছে। তবে উন্নত দেশগুলো টিকা গ্রহণকারীদের দ্রুত ইনোকুলেটগুলির সহজলভ্যতার জন্য আদেশ দিচ্ছিল যার ফলে মহামারীটি দীর্ঘায়িত হতে পারে।
কোভিড-১৯ এর কারণে জাতিসংঘের ইতিহাসে এই প্রথম নিউইয়কস্থ সদর দপ্তরে সদস্য দেশসমূহের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অনুপস্থিতিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সাধারণ অধিবেশন চলছে। শেখ হাসিনা মহামারী কার্যকরভাবে মোকাবেলায় সঠিক নেতৃত্বের নির্দেশনায় ‘সম্মিলিত ব্যবস্থা’ নেয়ার আহ্বানও জানান। ১৭ মিনিটের ওই ভাষণে প্রধানমন্ত্রী পুঞ্জিভূত রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং এর সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ১১ লাখেরও বেশি বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিককে মানবিক কারণে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু সেই আশ্রয়ের তিন বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও মিয়ানমার একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি। এ অবস্থায় তিনি বলেন আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ ব্যাপারে আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর