× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাণিজ্য ঘাটতি ৬৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০, সোমবার, ৭:১০ পূর্বাহ্ন

চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছে ৬৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ ৫ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় তিন ভাগের এক ভাগ। গত বছরের একই সময়ে এই ঘাটতি ছিল ২০৫ কোটি ডলার। প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে গত অর্থবছর শেষ হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলেন, আমদানি ব্যয় তুলনামূলক কমে যাওয়ায় কমে এসেছে বাণিজ্য ঘাটতি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, এই দুই মাসে আমদানি ব্যয় কমলেও উল্টো বেড়েছে রপ্তানি আয়। ফলে আমদানি-রপ্তানির মধ্যকার ব্যবধান বা বাণিজ্য ঘাটতি কমে এসেছে।

জুলাই-অগাস্ট এই  দুই মাসে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৬৭৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার আয় করেছে। আর আমদানিতে ব্যয় করেছে ৭৪৩ কোটি ২০ লাখ ডলার।
এ হিসাবেই জুলাই-আগস্ট সময়ে পণ্য বাণিজ্যে সামগ্রিক ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এই দুই মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ২.৪ শতাংশ। আর আমদানি ব্যয় কমেছে প্রায় ১৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতিও কমেছে। গত বছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে এ খাতের ঘাটতি ছিল ৫০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আর এ বছরের একই সময়ে তা কমে ১৯ কোটি ৭০ লাখ ডলারে নেমে এসেছে। মূলত বীমা, ভ্রমণ ইত্যাদি খাতের আয়-ব্যয় হিসাব করে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি পরিমাপ করা হয়।

জুলাই-আগস্ট সময়ে ৩৬ কোটি ডলারের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বাংলাদেশে এসেছে। গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এ হিসাবে দুই মাসে এফডিআই কমেছে ২৪.৭ শতাংশ। বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে মোট যে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আসে, তা থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফার অর্থ দেশে নিয়ে যাওয়ার পর যেটা অবশিষ্ট থাকে, সেটাকেই নিট এফডিআই বলা হয়।

আলোচ্য সময়ে ৪৫৬ কোটি ২০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছর এই দুই মাসে পাঠিয়েছিলেন ৩০৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৯.৯৭ শতাংশ। বাংলাদেশের ইতিহাসে দুই মাসে রেমিট্যান্সে এতো বেশি প্রবৃদ্ধি আর কখনও হয়নি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর