× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সুন্দরবন ভ্রমণে এখনো নিষেধাজ্ঞা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার

করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলে কক্সবাজার, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিসহ অনেক পর্যটন স্পটই এখন মুখরিত ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কোলাহল হলেও এখনো নিষেধাজ্ঞা রয়েছে সুন্দরবন ভ্রমণে। ছয় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সুন্দরবনে প্রবেশ। এতে বিপাকে পড়েছেন জলযান মালিক ও শ্রমিক-কর্মচারীরা। লোকসানে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো। কর্মহীন হয়ে কষ্টে দিন কাটছে কয়েক হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর। খোলার দাবিতে আন্দোলনেও নেমেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনাকালীন পর্যটক না আসায় আর্থিক লোকসান গুণতে হচ্ছে। আর বনবিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি নির্দেশনা পেলে খুলে দেয়া হবে সুন্দরবনের পর্যটন স্পট।
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব সুন্দরবন’র নাজমুল আজম ডেভিট বলেন, করোনার প্রভাবের কারণে গত মার্চ থেকে সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বন বিভাগ।
ওই নিষেধাজ্ঞা এখনো প্রত্যাহার না হওয়ায় চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে ট্যুর অপারেটরগুলো। তিনি অবিলম্বে সুন্দরবন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। ভ্রমণ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ওই খাত-সংশ্লিষ্ট হাজার হাজার মানুষ এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে ট্যুর অপারেটরগুলো চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। দ্রুত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য অবমুক্তকরণের দাবিতে বন বিভাগে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গত সোমবার খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষকের মাধ্যমে প্রধান কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
তিনি আরো বলেন, করোনার মাত্রা কমে এসেছে। অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবমুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু সুন্দরবনের পর্যটন স্পট অজ্ঞাত কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে। গত ২৬শে জুলাইয়ের সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্তে কথা বলে পর্যটন স্পট বন্ধ রাখা হয়েছে।
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সভাপতি মঈন জমাদ্দার জানান, বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন দেখার আগ্রহের শেষ নেই দেশি-বিদেশি পর্যটকদের। প্রতিবছর কয়েক লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক ভিড় করেন সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। করোনার কারণে সুন্দরবনের ভেতর পর্যটক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি প্রত্যাহার না হওয়ায় পর্যটক শূন্য দর্শনীয় স্থানগুলো। সুন্দরবনের ভেতর পর্যটক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা জারি করায় চরম আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন লঞ্চ, ট্রলার মালিক, ট্যুর অপারেটরসহ পর্যটন-সংশ্লিষ্ট প্রায় ৫ হাজার মানুষ। তেমনই সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
খুলনা সার্কেল বন সংরক্ষক মো. মঈনুদ্দিন খান জানান, গত ২৬শে জুলাই জাতীয় সংসদের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় সুন্দরবনসহ বিভিন্ন উদ্যানে পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও বনজ সম্পদ উন্নয়নে জনসমাগম অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি আমাদের কাছে এসেছে। তবে সুন্দরবনে পর্যটন স্পট খোলার বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
তিনি আরো জানান, ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব সুন্দরবন’ সংগঠনের পক্ষ থেকে গত সোমবার সুন্দরবনের পর্যটন স্পট খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছে। এতে অনতিবিলম্বে সুন্দরবনে পর্যটন অবমুক্তকরণের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। দাবি সম্বলিত চিঠিটি গত রোববার প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত আসলে খুলে দেয়া হবে সুন্দরবনের পর্যটন স্পট।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর