× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চকরিয়ায় দুই শিশুর ওপর বর্বরতা

অনলাইন

চকরিয়ায় (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০, সোমবার, ৮:১৭ পূর্বাহ্ন

চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নে গর্জনতলীর বনাঞ্চলের ভেতর দুই শিশু ভাই-বোনকে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে দৃর্বৃত্তরা। এ সময় বোনের দুই হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয়। এছাড়াও শরীরের ৮টি স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ সময় ভাইকে গলায় কোপ দেওয়া হয়। সেই কোপ সহ্য করে পালিয়ে রাস্তায় গিয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয় জনতা দুই শিশুকে উদ্ধার করে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে দুর্বৃত্তরা ফেলে যায় ১টি কাপড় এবং ১ জোড়া সেন্ডেল। সোমবার সকাল দশটার দিকে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের রাস্তারমাথা এলাকায় জঙ্গলের ভেতর এই নৃশংসতার ঘটনা ঘটেছে।
নৃশংসতার শিকার দুই শিশুরা হলোÑ রিয়াজ উদ্দিন (৭) ও রাজু আক্তারকে (১১)। তাঁরা ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের গর্জনতলী এলাকার আবদুর ছবির পুত্র ও কন্যা। শিশু রাজু আক্তার গর্জনতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় এবং রিয়াজ উদ্দিন একই বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। দুই শিশুর পিতা আব্দুর ছবির বলেন, আবদুর রহিম নামের এক ব্যক্তি তার কাছ থেকে কিছু টাকা পাওনা ছিল। টাকা দিতে না পারায় কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রী মিনা আক্তারকে হুমকি দিয়ে যায় সেই। বড় ধরনের পরিণতির শিকার হবে আমরা পরিবার। তার ধারাবাহিকতায় হুমকি দেওয়ার পর আজ আমার দুই অ-বুঝ শিশুকে বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে জঙ্গলের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে ২ শিশুকে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায়। আব্দুর ছবির আরো বলেন, আমি এবং স্ত্রী মিলে পাশ^বর্তী ঈদগাঁও গিয়েছিলাম। একটি এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে। এমন সুযোগে দুই শিশুকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে পূর্ব বিরোধের জের ধরে আবদুর রহিম।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং শিশুর বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। শিশুর প্রতি এমন অমানবিকতার সাথে যারা জড়িত থাকবে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত সময়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের কয়েকটি মাঠে কাজ করছে। দুই শিশুর পিতা থানায় রয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর