ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বিতর্কিত ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বহিষ্কৃত হওয়ার পর হাইকোর্টে রিট করে সরকারের বহিষ্কার আদেশের ওপর আদালত থেকে স্থগিতাদেশ এনে দীর্ঘ পাঁচ মাস ষোল দিন পর পুনরায় স্বপদে পুনর্বহাল পেয়ে গত রোববার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ চট্টগ্রাম হাটহাজারী উপজেলার ৩নং মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে ফিরে আসেন। তবে চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের ফিরে আসায় পরিষদ বর্জন করেছে ৯ ইউপি সদস্য। তারা বলেন, এখন দুর্নীতিবাজরা আরো উৎসাহিত হবেন। তাদের সাহস আরো বাড়বে। তাই তারা ক্ষোভে ইউনিয়ন পরিষদ বর্জন করেন।
গত ৪ঠা এপ্রিল মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ জন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করে বহিষ্কারের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন দাখিল করেন। ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে খালি রেজুলেশন করে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যেমন, ওয়ান পার্সেন্ট ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব আয়ের কোনো হিসাবপত্র তারা জানে না। এলজিএসপি ও এজিপিসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। অনেক প্রকল্প বাজেট হয়েছে কিন্তু কোনো কাজ হয়নি বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।
৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য, প্যানেল চেয়ারম্যান ১ গাজী আলী হাসান মানবজমিনকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে চেয়ারম্যান গত রোববার সকালে ওনার দলীয় সাঙ্গপাঙ্গ বাহিনী নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে গণজমায়েত করেন।
প্রকল্প আত্মসাৎ ও কাজ না করেই টাকা উত্তোলন এবং বিভিন্ন অনিয়মের কাজ পরিষদে করেছে তার বিচার আমরা পাইনি। আমাদের দিয়ে প্রকল্পের কাজ করিয়েছে কিন্তু কোনো টাকা দেয়নি। আমাদের প্রকল্পের সভাপতি বানিয়েছে কিন্তু কোনো প্রকল্পের কাজ হয়নি। আমরা অনাস্থা প্রস্তাবকারীদের দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত আদায় হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা পরিষদে যাব না। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ আমরা অমান্য করবো না। তবে আমরা ৯ জন মেম্বার যে বিচার চেয়ে অভিযোগ করেছি তার সুরাহা না হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ বর্জন করলাম।
স্বপদে পুনর্বহালকৃত মির্জাপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার মুঠোফোনে মানবজমিনকে বলেন, আসলে আমি দীর্ঘ পাঁচ মাস ইউনিয়ন পরিষদে না থাকায় আমাদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির কারণে একে অপরের প্রতি চক্ষুলজ্জার সৃষ্টি হয়েছে। আগের অবস্থায় ফিরে যেতে কিছু সময় লাগবে। আশাকরি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আমাদের মাঝে কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব, হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না।