× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঋণ পরিশোধের সময় আরো বাড়লো

অনলাইন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০, সোমবার, ৮:৪১ পূর্বাহ্ন

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণ দেখিয়ে আবারও ব্যাংকের ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধের বিশেষ সুবিধার সময় আগামী ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে চলতি বছরের শেষ দিন পর্যন্ত কোনও ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও খেলাপি করা যাবে না। এ সুবিধা আগে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছিল।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ‘ঋণ শ্রেণিকরণ’ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, আগামী ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনও ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও ঋণের শ্রেণিমানে কোনও পরিবর্তন আনা যাবে না। ফলে বর্তমানে কোনও ঋণগ্রহীতা যদি ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে খেলাপি করা যাবে না। তবে যদি কোনও খেলাপি ঋণগ্রহীতা এই সময়ের মধ্যে ঋণ শোধ করেন, তাকে নিয়মিত ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে ঋণ বা বিনিয়োগের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত উক্ত ঋণ বা বিনিয়োগ তদাপেক্ষা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে কোনও ঋণের বা বিনিয়োগের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে, চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি বিদ্যমান মেয়াদি (স্বল্প মেয়াদি কৃষি ঋণ ও ক্ষুদ্র ঋণসহ) ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি হতে ৩১শে ডিসেম্বর সময়কালীন প্রদেয় কিস্তিগুলো ডিফার্ড হিসেবে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট ঋণ বা বিনিয়োগের কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনর্নির্ধারিত হবে।

পুনর্নির্ধারণকালে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যত সংখ্যক কিস্তি প্রদেয় ছিল, তার সমসংখ্যক কিস্তির সংখ্যা বাড়বে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, ১লা জানুয়ারি বিদ্যমান, চলমান ও তলবি ঋণ বা বিনিয়োগের মেয়াদ বা সমন্বয়ের তারিখ বিদ্যমান মেয়াদ হতে ৩১শে ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বাড়বে। সুবিধা চলাকালীন ঋণ বা বিনিয়োগের ওপর সুদ বা মুনাফার হিসাবায়নের ক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালা বলবৎ থাকবে।
তবে উক্ত সময়ে ঋণ বা বিনিয়োগের ওপর কোনোরূপ দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, কোভিড-১৯ এর কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনও গ্রাহকের উল্লিখিত সুবিধা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত না হলে পূর্বনির্ধারিত পরিশোধসূচি অনুযায়ী অথবা ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণ/বিনিয়োগ সমন্বয়/পরিশোধ করা যাবে। অথবা বিশেষ সুবিধা গ্রহণ না করে কোনও গ্রাহক কর্তৃক স্বেচ্ছায় মেয়াদি ঋণ/বিনিয়োগের (স্বল্পমেয়াদি কৃষি ঋণ ও ক্ষুদ্রঋণসহ) কিস্তি পরিশোধ এবং চলতি ও তলবি ঋণ/বিনিয়োগ সমন্বয়/পরিশোধের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ব্যাংক কর্তৃক যৌক্তিক রিবেট সুবিধা প্রদান করা যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর