× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃদ্ধের রহস্যজনক মৃত্যু, বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার

 ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিপক্ষকে মামলায় ফাঁসাতে বৃদ্ধের মাদকাসক্ত ছেলে রুবেল মিয়া নিজেই তার বাবা মতি ভূঁইয়াকে (৬০) পিটিয়ে হত্যা করেছেন। ঘটনার পর থেকে ওই পক্ষের লোকজন বাড়ি ছাড়া। এই সুযোগে আসামি পক্ষের লোকজনদের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৩শে সেপ্টেম্বর দুপুরে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ মতি ভূঁইয়ার মৃত্যু হয়। তার পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী জামির হোসেন ও রহিম মিয়ার সঙ্গে পূর্ববিরোধের জেরে তারা মতিকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। এই অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে মতির মাদকাসক্ত ছেলে রুবেলই তাকে মেরেছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করছেন জামির ও রহিম। বৃদ্ধ মতি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ২৪শে সেপ্টেম্বর তার ছেলে মো. রাকিব বাদী হয়ে জামির ও রহিমসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর আসামি পক্ষের লোকজন বাড়ি ছেড়ে যান। এ সুযোগে রহিমের বাড়ির ২টি ঘর এবং জামিরের একটি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। রুবেলের নেতৃত্বে তার লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানিয়ে রহিমের স্ত্রী লিপি আক্তার ও জামির মিয়া জানান, তাদের ঘর থেকে সবকিছু লুট করে নেয়া হয়েছে।
ফ্রিজ, টিভি, ঘরের আসবাবপত্র, এমনকি দলিলপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র পর্যন্ত তারা লুট করে নিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ২০-২৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তারা। আরো জানান, রুবেলের মাদক সেবন ও কারবারে বাধা দেয়ার কারণে প্রায়ই সে তার বাবাকে খুন করে রহিম ও জামিরকে ফাঁসানোর হুমকি দিতেন। এ নিয়ে মতি ভূঁইয়ার মৃত্যুর কয়েকদিন আগে জামির বিজয়নগর থানায় অভিযোগও দিয়েছেন। বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান বলেন, বাড়ির সীমানা নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মামলা চলছে। এর জের ধরেই এই হত্যকাণ্ড ঘটেছে কিনা সেটি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর