× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাড়ছে ওয়েব সিরিজ বিতর্ক

বিনোদন

এন আই বুলবুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার

বর্তমান সময়ে ওয়েব সিরিজ বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনপ্রিয় শিল্পীরা ওয়েব সিরিজে নাম লিখিয়েছেন। পিছিয়ে নেই আমাদের দেশের শিল্পীরাও। এরইমধ্যে জাহিদ হাসান, মোশাররফ করিম, পপি, তাহসান, চঞ্চল চৌধুরী, নুসরাত ইমরোজ তিশা, তানজিন তিশা, বিদ্যা সিনহা মিম, আঁচল, বিপাশা কবির, অহনা, মৌটুসী বিশ্বাস, শ্যামল মাওলা, পরীমনি, তাসনুভা তিশা, অর্ষাসহ অনেকেই ওয়েব সিরিজমুখী হয়েছেন। তবে ওটিটি প্ল্যাটফরমে আমাদের দেশের ওয়েব সিরিজ নিয়ে শুরু থেকেই বেশ সমালোচনা হচ্ছে। এই  বিতর্ক কেবল বাড়ছেই। কেউ বলছেন ওয়েব সিরিজের নামে অশ্লীলতা প্রদর্শন হচ্ছে। আবার কেউ জোর গলায় বলছেন অনেকেই কয়েক পর্বের নাটক নির্মাণ করে সেটিকে ওয়েব সিরিজ বলে প্রচার করছে।  নেটফ্লিক্স যেমন নিজের প্রযোজনায় মুভি বা সিরিজ নির্মাণ করে, সেই একই আদলে বিনজ নামের একটি দেশীয় অ্যাপের প্রযোজনায় চলতি বছরের শুরুতে বাংলাতেই তৈরি হয়েছে তিনটি ওয়েব সিরিজ।
এগুলো হলো শিহাব শাহীনের ‘১৪ আগস্ট’, ওয়াহিদ তারেকের ‘বুমেরাং’ ও সুমন আনোয়ারের ‘সদরঘাটের টাইগার’। সিরিজগুলোতে অতিমাত্রায় যৌনতা, অশ্লীল সংলাপের কারণে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছেন মামুনুর রশীদের মতো বেশ ক’জন সিনিয়র অভিনেতা-নির্মাতা। সম্প্রতি অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিন ওয়েব সিরিজের অশ্লীলতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন- ওয়েব সিরিজ মানেই কি যৌনতায় ভরপুর, রগরগে দৃশ্য থাকতে হবে। খুলে ফেলতে হবে কাপড়? এমনই প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি। তার কাছে সম্প্রতি একটি চিত্রনাট্য পাঠানো হয়। সেই চিত্রনাট্যে নায়িকাকে কীভাবে যৌনতায় লিপ্ত করা হবে সেটা সুনিপুণভাবে লেখা রয়েছে। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়েছেন এই অভিনেত্রী। ওয়েব সিরিজ প্রসঙ্গে নির্মাতা-অভিনেতা আবুল হায়াত বলেন, ওয়েব সিরিজের অশ্লীলতা নিয়ে আমরা আগেও প্রতিবাদ করেছি। এখনো বলবো এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নই। তবে আমি ওয়েব সিরিজের বিরুদ্ধে নই। এটি একটি নতুন মাধ্যম। এর মধ্য দিয়ে শিল্পীদের কাজ বাড়ছে। সুতরাং এর সঠিক ব্যবহার প্রয়োজন। ওয়েব সিরিজ নিয়ে নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, বাংলাদেশে ওয়েব সিরিজের ভালো একটি সম্ভাবনা আছে। তবে এটি আমাদের জন্য নতুন একটি মাধ্যম। তাই অনেক কিছুই প্রথম দিকে মেনে নিতে কষ্ট হবে। এ ছাড়া নতুন কোনো একটি মাধ্যম আসলে অনেকে অনেকভাবে কাজ করতে চায়। কেউ কেউ এটিকে অসৎভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ খোঁজে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে শুধু ভালো কাজই থাকবে। ওয়েব সিরিজকে এগিয়ে নেয়ার জন্য এই নির্মাতা বলেন, বাংলাদেশে ওয়েব সিরিজকে আরো উন্নত করতে হলে সেন্সর বোর্ড নয়, এর রেটিং করা প্রয়োজন। নির্মাতা অনিমেষ আইচ বলেন, আমি মনে করি আপনি যাই নির্মাণ করুন না কেন, সেটি যেন ভালো কিছু হয়। সেটি টিভিতে প্রচার করলে নাটক হবে। ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে করলে ওয়েব হবে। কিন্তু গল্পটা যেন ঠিক থাকে। আপনার কাজটি কোথায় প্রকাশ করবেন সেটি না ভেবে কাজটি ভালোভাবে করাই নির্মাতার উচিত।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর