মাত্র দেড় বছর আগে দুজনের প্রণয় থেকে বিয়ে হয় ঢাকার দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের হরিচন্ডি গ্রামের শেখ লাভলুর মেয়ে সাথী আক্তারের (২২) সাথে পার্শ¦বর্তী চরকুসুমহাটি গ্রামের ফারুক খাঁর ছেলে সেলিম খাঁর (২৮)-এর। স্বামীর সংসারে বিয়ের কয়েক মাস ভালই কাটছিল তাদের পারিবারিক জীবন। কিন্তু বেশিদিন আর স্থায়ী হলো না সাথীর দাম্পত্য জীবনের। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় অকালেই নিভে গেল সাথী আক্তারের জীবন প্রদীপ। মঙ্গলবার সকালে শ^শুর বাড়ি থেকে তার নিথরদেহ উদ্ধার করে দোহার উপজেলার চর মাহমুদপুর ফাঁড়ির পুলিশ। সাথীর মায়ের অভিযোগ, তার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তার মেয়েকে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত (২৮ সেপ্টেম্বর ) সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে শ্বশুর বাড়ির বসত ঘরের আড়ার সাথে গৃহবধূ সাথী আক্তারের গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায় তার স্বামী সেলিম খাঁ। তার চিৎকারে গৃহবধূর শ্বশুর-শ্বাশুরিসহ পরিবারের অন্যরা ছুটে এসে তারা তার দেহ নিচে নামিয়ে গৃহবধূর বাবার বাড়ি স্বজনদেরকে মুঠোফোনে জানালে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তার মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।
তবে এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি না হওয়ার বিষয়টিকে ধামাচাপাা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন সাথীর বাবা- মা।
সাথীর মা মাছেনা বেগমের দাবি, তার মেয়েকে শ^শুর বাড়ির লোকজন মিলে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনে তদন্ত সাপেক্ষে আসল ঘটনা উন্মোচন করার দাবি জানান। মঙ্গলবার সকালে চর মাহমুদপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনা অবগত হওয়ার পর তার মরদেহ উদ্ধার করে দোহার থানায় নিয়ে যায়। পরে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় প্রেরণ করে। এ বিষয়ে দোহার চর মাহমুদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুজন বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় দোহার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।