জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে নোয়াখালী জেলা বিএনপি। সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ ও খাগড়াছড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন আদিবাসী নারীকে গণধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কর্মসূচি হিসেবে নোয়াখালীতে ছাত্রদলের সমাবেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে জেলা বিএনপি। বুধবার বিকালে জেলা শহর মাইজদীর রশিদ কলোনিস্থ কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহানের বাসভবনে জেলা বিএনপি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অতি দ্রুত গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্য দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্যে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মো. নোমান জানান, সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ কর্তৃক স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ ও খাগড়াছড়িতে মানসিক ভারসাম্যহীন আদিবাসী নারীকে গণধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কর্মসূচী হিসেবে আমরা জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ আয়োজন মিছিল শেষে পৌর বাজারের সামনে সমাবেশ করছিলাম। এ সময় পুলিশ বিনা উস্কানিতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হামলা চালিয়ে ১৮ জনকে আহত করে। ছাত্রদলের ৮ জন নেতাকর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখুকে প্রধান আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, সদর উপজেলার উপজেলা বিএনপির সভাপতি সলিমুল্লা বাহার হিরণ, পৌর বিএনপির সভাপতি আবু নাছের, জেলা বিএনপি’র দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক ও যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক লিয়াকত আলী খান স্বপন।
জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি ছাবের আহম্মেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজগর উদ্দিন দুখু প্রমুখ। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দেশের চলমান অরাজক পরিস্থিতিতে ধর্ষণে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ও ধর্ষণের শাস্তির দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচীতে পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা এবং নিরপরাধ গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।