রংপুরে স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ যাবিদ হাসান এ রায় প্রদান করেন। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ১৫ই অক্টোবর রংপুর নগরীর মন্থনা এলাকায় স্বামী মোশারফ হোসেন যৌতুক দাবি করে না পাওয়ায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে মর্জিনার শরীরে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন দেবার আগে তার আত্মীয় হবিবর রহমান মর্জিনাকে ধরে রেখেছিলো। মর্জিনার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে। সেখানে দু’দিন মৃত্যুর সাথে লড়ে ১৭ই অক্টোবর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মর্জিনা। মারা যাওয়ার আগে মর্জিনা পুলিশ ও কর্তব্যরত চিকিৎসকের সামনে স্বামী মোশারফ হোসেন ও হবিবর রহমান মিলে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেবার কথা মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতে জানায়।
এ ঘটনায় নিহত মর্জিনা খাতুনের বড় ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে।
মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে স্বামী মোশারফ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড, হবিবর রহমানকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও উভয়কে এক লাখ টাকা করে জরিমানা প্রদানের আদেশ দেয় আদালত। তবে মামলার মূল আসামি ঘাতক স্বামী মোশারফ হোসেন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি ও ক্রোকি পরোয়ানা জারি করে।