× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুলনায় স্কুলছাত্র বাপ্পি হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার

খুলনা মহানগরীর খালিশপুর প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিল স্কুলের ছাত্র মফিজুল ইসলাম বাপ্পিকে (১৬) পিটিয়ে হত্যা মামলার রায়ে আসামি রকিকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে আরো পাঁচ জনকে। বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এসএম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আসামি রকির পিতার নাম মান্নান।
যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া পাঁচজন হচ্ছেÑ আবু সাঈদের ছেলে আল-আমিন, আবদুল মান্নানের ছেলে মো. নজরুল, মোমরেজের ছেলে রবিউল, নিছার ওরফে আনছার আলীর ছেলে মিলন এবং আজিজুর রহমান হাওলাদারের ছেলে মুজিবর হাওলাদার। তাদের মধ্যে শেষের তিনজন পলাতক রয়েছে। এছাড়া আনসার আলীর ছেলে ইব্রাহিম ওরফে বাহাদুর ও হাজতি মৃত শামসুল হকের ছেলে হাসান খালাস পেয়েছেন। মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
আদালতের এপিপি এডভোকেট কাজী সাব্বির আহম্মেদ বলেন, ‘২০১০ সালের ১০ই অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায় প্লাটিনাম স্কুল মাঠে স্কুলছাত্র বাপ্পি ও তার বন্ধু রাজু একসঙ্গে বসে গল্প করছিল। সে সময় পূর্বশত্রুতার জেরে হকিস্টিক ও লোহার রড নিয়ে বন্ধু রাজুকে মারতে আসে আসামিরা।
তখন বন্ধু রাজুকে বাঁচানোর জন্য ঠেকাতে এলে আসামিরা বাপ্পির মাথায় হকিস্টিক দিয়ে আঘাত করে। বাপ্পি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এ সময় বন্ধু রাজু পালিয়ে যায়। এরপর আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ডা. মো. ইসমাইল শেখ ও ডা. সহদেব কুমার দাসের কাছে জবানবন্দি দেয় ভিকটিম বাপ্পি। ওইদিন রাত ১১টা ৫ মিনিটে বাপ্পি মারা যায়। এ ঘটনার পরদিন নিহতের বড় ভাই হাফিজুর রহমান খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১২ সালের ৩১শে মার্চ খালিশপুর থানা পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ২০১৪ সালের ২রা জানুয়ারি এ হত্যা মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়। শুনানিকালে এ হত্যা মামলায় ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। ওই সময় তৎকালীন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস মোহাম্মদ আলীর আদালতে আসামি রকি ও নজরুল ঘটনার বিবরণী দিয়ে এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং অন্য আসামিদের জড়িত থাকার বর্ণনা দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এডভোকেট কাজী সাব্বির আহমেদ, শামীম আহমেদ পলাশ ও রেহানা পারভিন এবং আসামি পক্ষে এডভোকেট নিরঞ্জন কুমার ঘোষ, শফিকুর রহমান, সৈয়দ খালিদ হোসেন মামলাটি পরিচালনা করেন।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর