× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হাইকোর্টের জামিনের ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে মুক্তি খুলনায় পিতা-পুত্র হত্যায় স্বীকারোক্তি দেয়া আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে!

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার

খুলনার তেরখাদা উপজেলার পহরডাঙ্গা এলাকায় পিতা-পুত্র হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া সাত আসামি মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে এলাকায়। হাইকোর্ট থেকে জামিনের ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি খুলনাসহ সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি উচ্চ আদালতে ওই মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলামের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়া আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়েছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে। তখনই আদালতের নজরে আসে বিষয়টি। আদালতের ভুয়া জামিনের কাগজপত্র দেখিয়ে মুক্তিলাভ করেছেন বলে অভিযোগ উঠছে।
আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়া জামিনপ্রাপ্তরা হলো- সাইফুল শেখ, খালিদ শেখ, আব্দুর রহমান, জমির শেখ, হোসেন শেখ, এস্কেন শেখ ও আইয়ুব শেখ। এরমধ্যে সাইফুল, খালিদ, আ. রহমান ও জমির শেখ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দীতে আদালতকে জানিয়েছিল- স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম দ্বীন ইসলামের নির্দেশে তারা পিরু শেখকে হত্যার উদ্দেশ্যে সেই রাতে গিয়েছিল।
পিতাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসায় নাঈম শেখ খুন হয়। চাঞ্চল্যকর মামলাটিতে সম্প্রতি ওই সাত আসামী জামিন মুক্তিলাভ করলেও ইউপি চেয়ারম্যান এসএম দ্বীন ইসলাম এখনো কারাগারে। ফলে বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৩টার দিকে তেরখাদার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের পহরডাঙ্গা গ্রামে জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে নাঈম শেখ নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পরদিন ৮ আগস্ট নিহতের মা মাফুজা বেগম বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে তেরখাদা থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই ঘটনায় গুরুতর জখম নাঈমের পিতা পিরু মিয়া শেখ (৫৫) আড়াই মাস পর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পরে মামলাটি ডবল হত্যা মামলায় রূপ নেয়।
সূত্র মতে, গেল বছরের ২১শে আগস্ট দুপুরে এ মামলায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম দ্বীন ইসলাম মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থ জোগানদাতাকে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। পরে আসামিদের স্বীকারোক্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত দা, বল্লম ও দুর্বৃত্তদের জুতা নাঈমের বাড়ির পেছনের খাল থেকে জুতা উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবি’র ওসি তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছিলেন, এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাগলদাহ ইউনিয়নে বংশগতভাবে পর্যায়ক্রমে একটা পূর্ব শক্রতা চলে আসছিল। এ শত্রুতার জের ধরে জমি দখল ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে নাঈম শেখ ও তার বাবা পিরু আলী শেখকে হত্যার মূল নকশা  তৈরি করেন প্রতিপক্ষ। তবে হত্যা মিশনে তিনি নিজে না থেকে কিলিং মিশনের একটি টিম গঠন করে অর্থ যোগান ও পরিকল্পনা করে দেন অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান। পরে পিতাপুত্র হত্যা মামলার মূল আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন করে এলাকাবাসী। সর্বশেষ, গত বছরের ২৫ আগস্ট জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে ছাগলাদাহ ইউপি চেয়ারম্যান এসএম দ্বীন ইসলামের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে তেরখাদাবাসী। পক্ষান্তরে ইউপি চেয়ারম্যান এসএম দ্বীন ইসলামকে নিরাপরাধ দাবি করে মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে তারই অনুসারীরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর