রংপুরে গ্রেপ্তারের পর পথে জোড়া খুনের আসামির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসামি এজাহারুলের মৃত্যু হয়। তিনি গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা। থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে বাঁশ কাটা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে এজাহারুল তার আপন দুই ভাইকে দিনে-দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় এজাহারুলের আরেক ভাই জালানুর বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। রায়ের অপেক্ষায় থাকা এ মামলায় ২০শে সেপ্টেম্বর এজাহারুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। গত মঙ্গলবার রাতে এজাহারুলকে গ্রেপ্তারে নোহালী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামে তার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।
নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে তার বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
প্রথমে তাকে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক এজাহারুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।নহত এজাহারুলের শ্বশুর মোবারক আলী জানান, তার জামাই আগে থেকে হৃদরোগে ভুগছিলেন। এ ছাড়াও তার মেরুদণ্ড অপারেশন করা ছিল। রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার সাংবাদিকদের জানান, এজাহারুল হৃদরোগ থেকে শুরু করে নানান সমস্যায় ভুগছিলেন। আদালতের আদেশে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় পথে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।