× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

উপকূলের সুরক্ষা ও উন্নয়নে পৃথক বোর্ড গঠনের আহ্বান

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) অক্টোবর ১, ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১২:১৭ অপরাহ্ন

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলা ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণসহ উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়নে হাওড় উন্নয়ন বোর্ডের ন্যায় পৃথক বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়েছে পরিবেশ আন্দোলন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা সুমুদ্র সৈকতের ভাঙ্গন রোধ ও পর্যটন শিল্পের বিকাশে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার সুমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। সামাজিক সংগঠন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং বেসরকারী সংস্থা স্ক্যাস ও লিডার্স আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র। বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, স্কাস চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা, দাতা সংস্থা কে এনএইচ জার্মানীর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মাটিলদা টিনা বৈদ্য, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য সাকিলা পারভীন, তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটি কক্সবাজারের সদস্য সচিব কলিম উল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন, কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু, কক্সবাজার খেলাঘর আসরের সংগঠক এম জসিম উদ্দিন, সাংবাদিক কাজী সোহাগ, গাজী শাহনেওয়াজ, জাহাঙ্গীর কিরণ, সিরাজুজ্জামান ও শাহজাহান মোল্লা, ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় নেতা অদৃতা সৃষ্টি প্রমূখ।
উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠনের দাবির সঙ্গে একমত প্রকাশ করে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত নষ্ট হয়েছে। কক্সবাজার সৈকতও হুমকির মুখে। এই অবস্থায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী। তিনি আরো বলেন, সরকার উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নয়নে আন্তরিক। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত মেগা প্রকল্প প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আগামীতে সংসদে আলোচনার প্রতিশ্র“তি ব্যক্ত করেন তিনি।
সমাবেশে উপকূল উন্নয়ন বোর্ড গঠনের দাবি জানিয়ে বলা হয়, সুনির্দ্দিষ্ট পরিকল্পকল্পনার অভাবে বিশাল উপকূলীয় অঞ্চল এখনো অবহেলিত। দূর্যোগে বিপর্যয় নেমে আসছে। টেকসই বাঁধের অভাবে প্রতিনিয়ত মানুষের জীবন জীবিকার ক্ষতি হচ্ছে। এমনকি কক্সবাজার ও কুয়াকাটার মতো সুমুদ্র সৈকতও ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। তাই সরকারের দেওয়া প্রতিশ্র“তি অনুযায়ী উপকূলীয় এলাকায় দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করতে হবে। একইসঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার স্বার্থে বাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নে মনিটারিং জোরদার করতে হবে।
সমাবেশে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে জরুরি তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ওয়াপদা বাঁধের ১০০ মিটারের মধ্যে চিংড়ি বা কাঁকড়ার ঘের তৈরিতে সরকার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। উপকূলীয় জনগণের নিরাপদ খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর