× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেট-বালাগঞ্জ সড়কে ভোগান্তি

বাংলারজমিন

বালাগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি
২ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার

‘আমরার রাস্তার কাম শেষ অইবনি, কাম শেষ অইতে আর কতদিন লাগবো? কয়েক দিন আগে বালাগঞ্জ ও আজিজপুরের মাঝখানে রাস্তায় আমার গাড়িত এক মহিলার ডেলিভারি অইছে।’ সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়ক প্রশস্তকরণ ও মেরামত কাজে ধীরগতির কারণে জনদুর্ভোগের বর্ণনা দিয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন স্থানীয় সিএনজি চালক মো. আব্দুল হামিদ। কয়েক বছর ধরে চরম ভগ্নদশায় থাকা সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কটির সংস্কার কাজ দেড় বছর আগে শুরু হলেও সড়কে দৃশ্যমান কোনো কাজ হয়নি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন। সড়কের স্থানে-স্থানে খালে পরিণত হওয়ায় বৃষ্টির পানি জমে আরো বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। হেলেদুলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। কখনো গাড়ি উল্টে যাচ্ছে, কখনো আটকা পড়ার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখা গেছে। একদিকে ধীরগতিতে চলছে সংস্কার কাজ। আর অন্যদিকে খানাখন্দ আর কাদা-জলে একাকার হওয়ায় দীর্ঘ এ সড়কটিতে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বালাগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলাসহ চারটি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিজের খুশিমতো কাজ করলেও যেন দেখার কেউ নেই।
কাজ শেষ হতে আর কতকাল অপেক্ষা করতে হবে-এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চরম গাফিলতি এবং সড়ক সংস্কার কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) কর্মকর্তাদের উদাসীনতার জন্যই এমনটি হয়েছে। বাস্তবে বাজার এলাকার কিছু জায়গায় আরসিসি ঢালাই ছাড়া তেমন কোনো কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। ভগ্নদশার কারণে বিগত কয়েক বছর ধরে সড়কে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। অটোরিকশাই এখন ভরসা। যানবাহনগুলো খানাখন্দে উল্টে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ভোগের সঙ্গে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়ক প্রশস্তকরণ ও মেরামত কাজের উদ্বোধন করা হয় ২০১৯ সালের ২৫শে মার্চ। সড়কটি ১২ ফুট থেকে উন্নিত করে ১৮ ফুট প্রশস্তকরণসহ সংস্কার কাজের জন্য প্রায় ৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজটি পায় ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন (জেবি) নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রশস্তকরণসহ সংস্কার কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একটি বেসসরকারি টিভি চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকালে সওজ সিলেট অঞ্চলের প্রকৌশলী তুষার কান্তি দাস বলেছিলেন- কার্যাদেশ অনুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে। সে অনুযায়ী ২৫শে অক্টোবর প্রকল্পের মেয়াদকাল শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কালক্ষেপণ করায় কাজের অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।  
সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়ক প্রশস্তকরণ ও সংস্কার প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ইমরান হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে ৩৫ শতাংশের বেশি কাজ হয়েছে। করোনা এবং পাথর সংকটের কারণে কাজের গতি কিছুটা কম ছিল। দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ূয়া বলেন, সড়কের সংস্কার কাজ চলমান থাকলে মানুষের কিছুটা ভোগান্তি হবে। কোভিড পরিস্থিতি ও পর্যাপ্ত পাথর না পাওয়ার কারণে কাজের ধীরগতি হয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর