করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে গত ১৮ই মার্চ থেকে ৩রা অক্টোবর পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কবে নাগাদ খুলবে তার কোনো নিশ্চয়তা মেলেনি এখনো। এই বন্ধের সময়েও শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ টিউশন ফি আদায়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নানাভাবে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি জামাল উদ্দিন জানান, বেতন আদায়ের বিষয়ে আমাদের কোনো মিটিং হয়নি, তবে প্রধান শিক্ষক আমাকে ফোনে এ ব্যাপারে জানিয়েছেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশীদ জানান, আমি ব্যক্তিগতভাবেই বেতন আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ১০ তারিখে পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছি। শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তাহমিদ আহমেদের মা রেজিয়া বেগম জানান, আমার স্বামী একজন মানসিক রোগী, তাই তিনি নিজে চাকরি করতেন প্রাণ কোম্পানিতে। করোনার কারণে হারিয়েছেন চাকরি। এরই মধ্যে স্কুল থেকে জানানো হয় ১০ই অক্টোবর সন্তানের পরীক্ষা।
তাই দ্রুত পরিশোধ করতে হবে পরীক্ষার ফি- বেতন। যথারীতি সন্তানকে ১ মাসের বেতন ও পরীক্ষার ফি দিয়ে পাঠান বিদ্যালয়ে।
সন্তান ফিরে গিয়ে জানায়, ক্লাস টিচার গিয়াস উদ্দিন তার টাকা গ্রহণ না করে আগামীকালকে এপ্রিল-অক্টোবর পর্যন্ত ১৪৮০ টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন। তিনি নিরুপায় হয়ে বেতন মওকুফ করাতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ এতো নির্দয় হলে আমরা কার কাছে যাবো?
সহকারী প্রধান শিক্ষক মহিবুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় না করে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দেয়া যাচ্ছে না। অনেকে বেতন মওকুফের আবেদন দিয়েছেন আমি পরবর্তী বোর্ড মিটিং এ বিষয়টা উত্থাপন করবো।