চট্টগ্রামের পুরাতন চান্দগাঁও এলাকায় মা-ছেলেকে হত্যা মামলার একমাত্র আসামি কথিত ভাই ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭। বৃহ¯পতিবার ভোরে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানাধীন পাক্কার মাথা এলাকা থেকে ফারুককে আটক করা হয়। এ সময় ফারুকের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত ফারুক মহানগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট খাজা রোডের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন র্যাব-৭ এর মুখপাত্র সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান মামুন। তিনি জানান, ফারুক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে যৌথ ব্যবসার বিরোধের জের ধরে রাগের মাথায় সে গুলনাহার বেগমকে খুন করেছে। খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় তার ছেলে রিফাতকেও খুন করে। আর গ্রেপ্তার এড়াতে সে মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে। সূত্র জানায়, গত ২৪শে আগস্ট রাত ৮টার দিকে চাঁন্দগাও থানাধীন পুরাতন চান্দগাঁওয়ের রমজান আলী সেরেস্তাদার বাড়ি এলাকার একটি বাসায় গার্মেন্ট থেকে ফিরে মা গুলনাহার বেগম ও ভাই রিফাতের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পাই মেয়ে ময়ুরী।
ঘটনার আকস্মিকতায় ময়ুরী চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের মানুষ ঘটনাস্থলে আসেন এবং দ্রুত পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেন এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। তখন চাঁন্দগাও থানা পুলিশ জানিয়েছিল, গুলনাহার বেগমের লাশ বাথরুমে ও বাথরুমের বাইরে তার ৯ বছরের ছেলে রিফাতের রক্তাক্ত লাশ পড়েছিল। দুজনের শরীরে ধারালো অস্ত্রের প্রচুর আঘাত ছিল। রিফাতের গলা কাটা ছিল। পরে ঘটনার দিন রাতে ময়ুরী বাদি হয়ে তার মায়ের ধর্মের ভাই ফারুকের নাম ও অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁন্দগাও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজহারে ময়ুরী উল্লেখ করেন, তার মা গুলনাহার বেগম (৩৩) ধর্মের ভাই ডেকেছেন ফারুককে। তারা যৌথভাবে ব্যবসা করতেন। ফারুক দীর্ঘদিন ধরে তাদের বাসায় যাওয়া আসা করেন। গত কিছুদিন ধরে ব্যবসা নিয়ে মায়ের সাথে ফারুকের বনিবনা হচ্ছিল না। প্রায় সময় ঝগড়া হতো দুজনের মধ্যে। এই আক্রোশের বশবর্তী হয়ে তার মাকে ফারুক খুন করেছেন। যার আক্রোশের শিকার শিকার হয়েছেন ৯ বছরের ভাই রিফাতও।