হালুয়াঘাট উপজেলার ১২ নং স্বদেশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিহাদ হোসেন সিদ্দিকী ইরাদ। ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জন্ম দিয়েছেন বহু বিতর্কের। এমন কোনো অপকর্ম নেই যে যা তিনি করেন না। অভিযোগ রয়েছে, তার কথার বাইরে চললে ধরে নিয়ে যান নিজস্ব কামরায়। তার ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আবার মুক্তিপণ দিয়েও ছাড় পেতে হয় কাউকে। বারবার অপরাধ করেও প্রমাণের অভাবে পার পেয়ে যান তিনি। তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পান না কেউ।
পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রয়েছে অর্ধডজন। চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, মাদক, ইয়াবাসহ নানা অপরাধের ফিরিস্তি রয়েছে পুলিশের কাছে। চেয়ারম্যান ইরাদের শাসনের স্টাইলটা অনেকটা কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ সিকদারের মতো এমন অভিযোগও কারও কারও। পুলিশ বার বার আটক করে জেলখানায় পাঠালেও আইনের ফাঁক গলিয়ে বের হয়ে আবার অপকর্মে লিপ্ত হয়। তারই ধারাবাহিক তা-বে গত বুধবার বিকালে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে খুন করেছেন আব্দুল কাদির নামে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধকে। ঘটনাটি ঘটে ১২ নং স্বদেশী ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে হালুয়াঘাট থানার ওসি মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স চেয়ারম্যান ইরাদসহ তিনজনকে আটক করে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বালু উত্তোলনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৃশংস এ হত্যাকা- চালানো হয় ঐ বৃদ্ধসহ অন্যদের ওপর। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত সহ ৪ জন আহত হয়। পরে ১৬ জনকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের পুত্র ফরিদ মিয়া। পুলিশের হাতে আটককৃত অপর দুই আসামি হলোÑ ফুলপুর উপজেলার সানচুর গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র শাজাহান (২৬) ও হালুয়াঘাট উপজেলার বালিজুড়ি গ্রামের সুরুজ আলীর পুত্র সোহেল (২৫)। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে হালুয়াঘাট থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, ইরাদের বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ আব্দুল কাদিরকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় চেয়ারম্যান ইরাদসহ তিনজনকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নৃশংস এ হত্যাকা-ের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন ওসি মাহমুদুল হাসান।