সিলেটের বিশ্বনাথে এক কিশোরী গৃহপরিচারিকাকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের মুয়াজ্জিনসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাত ১০টায় উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ৭ জনকে এজাহারভুক্ত ও ৪-৫ জনকে অজ্ঞানামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন ওই কিশোরীর বড়বোন দিলারা বেগম। পুলিশ ইমামের সহকর্মী মুয়াজ্জিনসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। অভিযুক্ত মো. রুহুল আমিন শাহার (৩৫) ইসলামপুর নতুন জামে মসজিদের ইমাম ও সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হতদরিদ্র পরিবারের পিতৃহারা নির্যাতিতা কিশোরী প্রায় দু’বছর ধরে নিজ গ্রাম ইসলামপুরের আবদুশ শহীদের ঘরে গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছেন। ওই ঘরেই পনের বছর ধরে লজিং থাকেন ইসলামপুর নতুন জামে মসজিদের ইমাম রুহুল আমিন শাহার। এরই মধ্যে কিশোরীর দিকে কুনজর পড়ে ইমামের।
বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন তাকে। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে একা পেয়ে কিশোরীকে জোরপূর্বক ইমামের কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। তার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন কিশোরীকে ইমামের কক্ষ থেকে উদ্ধার করেন। এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, ইমাম রুহুল আমিন শাহার ওই কিশোরীকে এর আগেও অনেকবার ধর্ষণ করেছেন। মঙ্গলবারের ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে ধামাচাপা দিতে অপতৎপরতা চালায় ওই মসজিদের মুয়াজ্জিনসহ একটি চক্র।
এদিকে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে ইসলামপুর নতুন জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মাওলানা আরিফ উদ্দিনের ছেলে মাহফুজ বিন আরিফ (১৯) ও বিশ্বনাথ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে মখদ্দছ আলীকে (৬৩) বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আটক করে থানা পুলিশ। পরে তাদেরকে ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মূসা জানান, ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামিকে বৃহস্পতিবার কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার মূল হোতাসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।