সাভারে পৃথক ঘটনায় এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও নারী শ্রমিককে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ এবং দুই শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল সকালে পৃথক তিনটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে পৌর এলাকার ভাগলপুর সিরামিক্স, হেমায়েতপুরের যাদুরচর ও ২৮শে সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আনন্দপুর এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ জানায়, সাভারে এক গৃহবধূকে (২৪) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত গভীর রাতে সাভারের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নওগা জেলার মৃত্যু মিরাজ মন্ডলের ছেলে মহিদুল মন্ডল (৪০), একই জেলার মোহাম্মদ আতোয়ারের ছেলে তারিকুল ইসলাম (২৪) ও দিনাজপুর জেলার মৃত্যু সোলমান আলীর ছেলে মোজাহারুল ইসলাস (২৫)। এছাড়া মামলার পলাতক আসামিরা হলেন- বাসুদেব (৪০), মুক্তার (৪২) ও আলম (৪০)।
তারা সকলেই ভাগলপুর সিরামিক্স বাজার এলাকার বিভিন্ন বাড়ির ভাড়াটিয়া। অন্যদিকে সাভারের হেমায়েতপুর যাদুরচর এলাকায় এক নারী শ্রমিককে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী শ্রমিক বৃহস্পতিবার সকালে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করলে অভিযুক্ত আল-আহসান মুজাহিদুল ইসলাম ওরফে ওশানকে (২৬) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মুজাহিদুল লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার বড়খাতা গ্রামের আইয়ুব আলী মাস্টারের ছেলে। এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে সাভার পৌর এলাকার আনন্দপুর মহল্লার খেলাধুলা করার সময় চকলেট দেয়ার কথা বলে প্রতিবেশী যুবক মনোয়ার হোসেন (২৫) পাঁচ বছর বয়সী দুই শিশুকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়।
পরে তাদেরকে ঘরের ভেতরে আটকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এঘটনায় বৃহস্পতিবার এক শিশুর বাবা সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাল প্রেক্ষিতে পুলিশ বখাটে মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে।